পটিয়ায় একস্থানে দুই ব্রিজ হুমকির মুখে বেড়িবাঁধ

পটিয়ায় একই স্থানে দুটি ব্রিজ

বিকাশ চৌধুরী, পটিয়া

উপজেলার শ্রীমাই খালে এক জায়গায় দুটি ব্রিজের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ একটি বেড়িবাঁধ। আগামী বর্ষা মৌসুমে উপজেলার ভাটিখাইন এলাকায় বেড়িবাঁধটি ভেঙে ব্যাপক ড়্গতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খালের ভাটিখাইন বাজার এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) গত অর্থ বছরে একটি ব্রিজ নির্মাণ করলেও পাশের পরিত্যক্ত ব্রিজ এখনো অপসারণ করা হয়নি। পরিত্যক্ত ব্রিজের কারণে বেড়িবাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকে বাড়ি-ঘর তলিয়ে যেতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর অবহেলার কারণে খাল থেকে পরিত্যক্ত ব্রিজটি অপসারণ করা হচ্ছে না। গ্রামবাসীর অভিযোগ, শ্রীমাই খালের ভাটিখাইন স্ট্রিল ব্রিজ এলাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৪.৫ কিলোটার বেড়িবাঁধ এখন ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার দলীয় কিছু নেতাকর্মী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে বেড়িবাঁধ সংস্কারের নামে লাখ লাখ টাকা হরিলুট করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। চলতি অর্থ বছরে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে বালির বস্তা ও ১২ ফুটের বাঁশ গেড়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শ্রীমাই খাল দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে প্রতি বছর বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ড়্গয়ড়্গতি হয়। ভাটিখাইন ব্রিজ এলাকায় খালের উপর যে ব্রিজটি রয়েছে তা এখন ঝুঁকিপূর্ণ। মূলত সড়ক ও জনপথ বিভাগ পরিত্যক্ত ব্রিজটি অদৃশ্য কারণে অপসারণ করেনি। পরিত্যক্ত ব্রিজের কারণে খালের পানি স্বাভাবিকভাবে যেতে পারছে না। খাল ঘেঁষে যাওয়া ভাটিখাইন ইউনিয়নের ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা এখন ঝুঁকিপূর্ণ। খালের পাড়ে রয়েছে ভাটিখাইন ইউনিয়নের করুনাপাড়া, ধোপা পাড়া, ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা, সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের বাড়ি এলাকা ছাড়াও পাশ্ববর্তী ছনহরা ইউনিয়নের আলমদারপাড়া ও চাটরা এলাকা আগামী বর্ষা  মৌসুমে খালের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ড়্গোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বেড়িবাঁধ সংস্কারের নামে সরকারি অর্থ প্রতি বছর নষ্ট হচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি। চলতি বছর বালির বসত্মা দিয়ে যে বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়েছে তা বর্ষার আগেই পুনরায় খালে বিলীন হয়ে যাবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) দোহাজারীর নির্বাহী প্রকৗশলী সুমন সিংহ জানিয়েছেন, শ্রীমাই খালে যে পরিত্যক্ত ব্রিজ রয়েছে তা অপসারণ করা হবে। পরিত্যক্ত ব্রিজটি অপসারণ করতে তিনি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবেন।