নোয়াজিশপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র : জরাজীর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসাসেবা

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান :

রাউজান উপজেলার ১৫ নম্বর নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ঈশা খা দিঘির পাড়ে এরশাদ সরকারের শাসন আমলে নির্মাণ করা হয় নোয়াজিশপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভবন । পাশে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের বসবাসের জন্য নির্মান করা হয় ভবন।  ভবনটি নির্মাণ করার পর থেকে নোয়াজিশপুর ইউনিয়ন, পার্শ্ববর্তী চিকদাইর ইউনিয়ন, ফটিকছড়ির আবদুল্ল্যাহপুর, জাফতনগর ইউনিয়নের দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা প্রতিনিয়ত চিকিৎসাসেবা নিয়ে সরকারি বিনামূল্যের ঔষধ সেবন করে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পেত। ভবনটি এতদিনে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে । ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন নির্মাণ করা ভবনটিও জরাজীর্ণ এখন। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভবন, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য নির্মাণ করা ভবনের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে।  ছাদে গাছগাছালি জম্নে ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । দুটি ভবনের দরজা-জানালাও ভেঙে পড়েছে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা রোগী ও চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ নোয়াজিশপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে । ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পরিদর্শনকালে গত ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে রুপালী বড়ুয়া নামে এক অফিস সহকারীকে দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে দেখা যায়। রুপালী বড়–য়া বলেন, দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. জাহেদুল আলম, নার্স সুরভী দাশ সকালে আসেন। তারা দুজনই এলাকায় রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য গেছেন। তিনি জানান, প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন দরিদ্র পরিবারের সদস্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে নোয়াজিশপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার্দীসকদার বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন জরাজীর্ন হয়ে পড়ায় কয়েক দফায় জরাজীর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতার কাছে আবেদন জানানো হলেও নতুন ভবন নির্মাণ করা যায়নি।

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রতিদিন চলছে চিকিৎসাসেবা। রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর আলম দীনকে ফোন করে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, নোয়াজিশপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগীূ হয়ে পড়েছে। নতুন ভবন নির্মাাণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানো হয়নি ।