নিহত দুই, আহত ৩৫

নির্বাচনী সহিংসতা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীর দুই গ্রপের সংঘর্ষে আলাউদ্দিন আলম (২৫) নামে এক যুবক নিহত এবং পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া বার কোয়ার্টার এলাকায় বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই নিজাম উদ্দিন মুন্না (৩০) খুন হয়েছেন।
এর মধ্যে নিহত ছোট ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের হোসেনের অনুসারী এবং বড় ভাই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ নুরুল আমিনের অনুসারী বলে জানা যায়।
গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে আমবাগান ইউসেফ টেকনিক্যাল স্কুল কেন্দ্রে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ এবং সকাল ৭টার দিকে পাহাড়তলী সরাই পাড়ার বার কোয়ার্টার এলাকায় যুবক খুনের ঘটনাটি ঘটে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভুঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম চৌধুরী ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আলাউদ্দিন আলম নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাহাড়তলী থানার সরাই পাড়ার বার কোয়ার্টার এলাকায় বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত ছোট ভাই নিজাম উদ্দিন মুন্নাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাইয়ের খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাসান ইমাম। তিনি বলেন, পাহাড়তলী থানার সরাই পাড়ার বার কোয়ার্টার এলাকায় সকাল ৭টার দিকে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়ির সামনে বড় ভাই সালাউদ্দিন কামরুল ছোট ভাই নিজাম উদ্দিন মুন্নাকে প্রথমে পেটে ছুরিকাঘাত ও পরে জবাই করে খুন করে। এ ঘটনায় নিহতের আরেক ভাই বড় ভাইয়ের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। খুনের পর অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কামরুল পালিয়ে গেছেন।
আমবাগানের নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান বলেন, সকাল ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম চৌধুরী ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের সমর্থকের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় আলাউদ্দিন আলম নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং দুই গ্রুপের ৪ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন।
এ ছাড়া নির্বাচনী সহিংসতায় আমবাগান, লালখানবাজার, কোতোয়ালি, খুলশীসহ নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৩৫ জন আহত অবস্থায় চমেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।