নালার মাটি রাস্তায় চলাচলে দুর্ভোগ

নগরীর কে বি আমান আলী রোড

রুমন ভট্টাচার্য:
নগরীর ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া কে বি আমান আলী রোডের ফুলতলা থেকে রাহাত্তারপুল পর্যন্ত চলছে ড্রেন পরিষ্কার ও নতুন সø্যাব নির্মাণের কাজ। ড্রেন থেকে তোলা কাদামাটি ও ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় ফেলে রাখায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দা, আশপাশের দোকানদার, পথচারী ও গাড়িচালকদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ড্রেন থেকে ময়লা-আবর্জনা তোলার যে গতি নেওয়ার ক্ষেত্রে একেবারে ঢিলেঢালা।
গতকাল সরেজমিন সকাল ১১টায় দেখা যায়, ফুলতলা থেকে আতুরার দোকান পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়েছে ড্রেনের কাদামাটি ও ময়লা-আবর্জনা। কাদামাটি ছড়িয়ে পড়েছে পুরো রাস্তায়। রাস্তা সংকুচিত হওয়ায় তৈরি হয়েছে যানজট। থেমে থেমে চলছে রিকশা থেকে শুরু করে ইঞ্জিনচালিত গাড়ি। পথচারীরাও হাঁটছে কাদামাড়িয়ে ধীরগতিতে।
পথচারী মো. জয়নাল ক্ষোভ নিয়ে বলেন, ‘নালার মাটি রাস্তায় না রেখে যদি সাথে সাথে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হতো তাহলে দুর্ভোগ কম হত। এসব কাজ দিনে না করে রাতে করলেও ভোগান্তি কমত।’
আশপাশের অন্য দোকানিরা জানান, এক সপ্তাহ ধরে চলছে ড্রেন পরিষ্কার ও সø্যাব নির্মাণের কাজ। দোকানের সামনে ময়লা-আবর্জনা রাখায় বেচাবিক্রি একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রভা হোমিও ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. পীযুষ কুমার নন্দী বলেন, আমার চিকিৎসালয়ের সামনে গত ৩ থেকে ৪ দিন হবে ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা রাখা হয়েছে। কিন্তু পরিষ্কারের কোনো খবর নেই। এসব দেখে রোগীরা কেউ আসছে না।
দোকান মালিক কার্তিক দাস বলেন, একে তো নালার উপর থেকে সø্যাব তুলে ফেলা হয়েছে অন্যদিকে দোকানের সামনে স্তুপ করে রাখা হয়েছে কাদামাটি। আসা-যাওয়ার কোনো পথ নেই। যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এ ভয়ে কেউ দোকানে আসছে না। কবে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে কে জানে।
এ সময় কথা হয় কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত হেডমিস্ত্রি মোহাম্মদ হানিফ এর সাথে। তিনি সুপ্রভাতকে বলেন, ড্রেন পরিষ্কারের পাশাপাশি নতুনভাবে সø্যাব নির্মাণ করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে চলছে কাজ। প্রতিদিন প্রায় ১৫-২০ জন লোক কাজ করছে। দুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও ঠিকাদারের সাথে কথা বলতে বলেন।
এসব বিষয়ে জানতে শনিবার রাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার ও আমির হোসেন ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মো. আলী হোসাইনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
পরে আমির হোসেন ব্রাদার্সের ম্যানেজার মো. মামুনের মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি সুপ্রভাতকে বলেন, ‘মানুষের যাতে দুর্ভোগ না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। রাস্তা ছোট হওয়ায় দিনের বেলায় ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কোনো সুযোগ থাকে না। ট্রাক ঢুকলে যানজটের সৃষ্টি হয়। রাস্তায় রাখা ময়লা-আবর্জনাগুলো আজ (শনিবার) রাতের মধ্যেই পরিষ্কার করা হবে।’