নতুন আক্রান্ত ২৪৬ জন

২৪ ঘণ্টায় মারা গেলেন ৫ জন, সুস্থ ১৩ জন #
ইম্পেরিয়ালের পর করোনা পরীক্ষায় যুক্ত হলো শেভরন #

নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা পরীক্ষায় যুক্ত হলো শেভরন। এখন থেকে চট্টগ্রামের ছয় ল্যাবে চলবে করোনা পরীক্ষা, আর এর সাথে রয়েছে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজও।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১০৯৩ টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ২৪৬ জনের। এই ২৪৬ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ২১২ জন ও উপজেলার ৩৪ জন। আর এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৬৬ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে ১৬০ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৯০৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে মারা গেছে পাঁচ জন এবং সুস্থ হয়েছে ১৩ জন।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৭৭টি নমুনার মধ্যে ১৭টিতে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ১৭ জনের মধ্যে ১০ জন মহানগরের এবং ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩১টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৮ জনের, এদের মধ্যে ৫ জন নগরীর এবং ৩ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৩৩৩টি নমুনার মধ্যে ৮৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৮৩ জনের মধ্যে ৭৮ জন নগরীর এবং ৫ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০টি নমুনার মধ্যে ৯ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ৯ জনের মধ্যে ২ জন মহানগরীর এবং ৭ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ১৪৪টি নমুনার মধ্যে ৬৬ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে, এদের মধ্যে ৫৯ জন মহানগরীর এবং ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১০০ জনের মধ্যে ৬২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের মধ্যে ৫৮ জন নগরীর ও চারজন উপজেলার বাসিন্দা। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৮ জনের নমুনার মধ্যে একজনের পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং তিনি উপজেলার বাসিন্দা।
উপজেলাগুলোতে আক্রান্ত হওয়া ৩৪ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ১ জন, সাতকানিয়ায় ৪ জন, বাঁশখালীতে একজন, আনোয়ারায় তিনজন, চন্দনাইশে পাঁচজন, পটিয়ায় ২ জন, বোয়ালখালীতে তিনজন, রাঙ্গুনিয়ায় ২ জন, রাউজানে ১ জন, ফটিকছড়িতে ১ জন, হাটহাজারিতে ৮ জন, সীতাকুন্ডে ২ জন ও মিরসরাইয়ে ১ জন রয়েছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার নতুন করে ২৪৬ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৭,৪৬৬ জন। এর আগে ২৪ জুন ২৪১ জন, ২৩ জুন ২৮০ জন, ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন, ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন, ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।