নগরে বেড়েছে মাস্ক ছাড়া চলাফেরা ও আড্ডা

নগরের নতুন ব্রিজ এলাকায় বেড়েছে মানুষের চলাচল -সুপ্রভাত

রুমন ভট্টাচার্য :

করোনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। সেই সাথে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। অথচ এমন পরিসি’তিতেও প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বাইরে যাচ্ছে মানুষ। শুধু তাই নয়, তাদের বেশিরভাগই করোনা প্রতিরোধে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ইদানিং অনেকেই মাস্ক মুখে না দিয়ে চলাফেরা করছে। সচেতনতা বলতে কিছুই নেই বললেই চলে। এমনকি ঝুঁকি নিয়ে ছোট শিশুদের নিয়েও বাইরে আসছে প্রয়োজনের অজুহাতে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন অলি-গলিতে আবারও জমে উঠেছে তরুণদের জমজমাট আড্ডা।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে সে আহ্বান শুরুতে মানার প্রবণতা মানুষের মাঝে বেশি দেখা গেলেও এখন সেটি কমে এসেছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে অলি-গলির আড্ডা অনেকটা বন্ধ হয়েছিল কিন’ এখন সে আড্ডা আবারও চোখে পড়ছে। ফলে তৈরি হচ্ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৭ ও ২৮ মে) সকাল ও বিকালে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি না মানা মানুষের সংখ্যা অনেক। বাইরে বের হওয়া অনেক মানুষের মুখেই নেই মাস্ক। গ্লাভস তো দূরের কথা। এরই মাঝে অনেককেই রাস্তার দোকানে চাসহ বিভিন্ন খাবার খেতে দেখা যায়। অনেকে আবার সনত্মান কোলে নিয়েও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাফেরা করছেন প্রয়োজনে বের হওয়ার অজুহাতে।

করোনার ঝুঁকি এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বাইরে চলাফেরা করাদের মাস্ক পরতে বলছে। তারা জানায়, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে নির্গত ভাইরাস থেকে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ অধিক জনসংখ্যার দেশ। বাইরে গেলে অবশ্যই সবার মাস্ক পরা উচিত। বিশেষ করে জনসমাগম হয় এমন স্থানে যেমন- হাটবাজার, রাস্তাঘাট ও গণপরিবহণে মাস্ক ছাড়া যাওয়া ঠিক নয়।

এদিকে, নগরীর বিভিন্ন অলি-গলির আড্ডর সেই পুরনো চিত্র ফিরে এসেছে। নগরীর প্রায় সব অলিগলিতে চার-পাঁচজন জড়ো হয়ে আড্ডা দেওয়ার বিষয়টি এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই। আড্ডারতদের কারো মুখে মাস্ক আছে আবার কারো মুখে নেই। সন্ধ্যার পর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ চা আর সিগারেটের দোকানের দেখা মিলেছে বেশ কয়েকদিন ধরে। এসব বন্ধে বিভিন্ন এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

২৬ মে রাত ৯টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাপ্পী নীল নামে একজন লিখেছেন, ‘ঝুঁকির মুখে এখন চকবাজার ফুলতলা মসজিদগলি। যে হারে গলিতে বহিরাগতরা আড্ডা দিচ্ছে করোনা ভাইরাস ঘরে ঘরে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগবে না। আতঙ্কিত গলির বসবাসরত ৬-৭ বাড়িওয়ালাসহ ৬০-৭০ ভাড়াটিয়া পরিবার। সতর্ক হোন এলাকাবাসী না হলে বিপদ। এ ব্যাপারে চকবাজার ও বাকলিয়া থানার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’