বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ মডেল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নিজেদের দেশে হিংসার শিকার হয়েছেন রোহিঙ্গারা। লাখ লাখ রোহিঙ্গা নিজেদের দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। এজন্য বিশ^ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ একটি মডেল তৈরি করেছে। যেটি জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তিনি গতকাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রে আয়োজিত ‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন। নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল্ স্টুডেন্টস বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে দুটি সম্পদ রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে মানবসম্পদ ও পানিসম্পদ। কিন্তু আমরা দক্ষতার অভাবে এ দুই ধরনের সম্পদকে কাজে লাগাতে পারছি না। যদি এই দুই ধরনের সম্পদকে কাজে লাগানো যায় তাহলে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আলুর দাম বেড়ে গেছে। শুধু কার্যকর প্রক্রিয়াজাতের অভাবে দেশে লাখ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত হয়ে পড়ে আছে। এজন্য কৃষিতে আধুনিকায়ন দরকার।
সিলেট-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বিমান যোগাযোগ চালুর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। এখন সিলেট থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত বিমান যোগাযোগ চালুর প্রক্রিয়া চলছে।
‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থের লেখক ও বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশে^র সম্পদ। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা তাকে ধারণ করতে পারিনি। তবে আমরা শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। বাঙালি পরিশ্রমী, মেধাবী। কিন্তু সেই মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। যুগোপযোগী গবেষণার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র অল্প কয়েক বছর বঙ্গবন্ধু দেশকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতকেরা তাকে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। এরপর তার কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় আইন অনুষদের ডিন এবিএম আবু নোমান বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেটি এখন চোখে দেখা যাচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি সেটি উদারহণ। সবাই মিলে কাজ করলে দেশ ২০৪১ সালে আগে উন্নত দেশে পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিজিসি ট্রাস্ট বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী, বান্দরবান বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএফ ইমাম আলী, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, বাংলাদেশ চা বোর্ডের যুগ্মসচিব ড. নাজনীন কাউসার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তী, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রামে কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শহীদুল আলম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। বিজ্ঞপ্তি