দেখার কেউ নেই!

কার্পেটিং না করায় বৃষ্টি হলেই কাঁদা-পানির দুর্ভোগ। নগরীর পশ্চিম বাকলিয়া কে বি আমান আলী রোডের ছবি-সুপ্রভাত

রুমন ভট্টাচার্য :
নগরীর ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া কে বি আমান আলী রোড এলাকার রাস্তাটি বেহালদশায় পরিণত হয়েছে। ইট ও বালুর প্রলেপ দিয়ে রাস্তাটি ফেলা রাখা হয়েছে কয়েক সপ্তাহ ধরে। বর্ষার অজুহাতে বন্ধ রয়েছে কার্পেটিংয়ের কাজ। ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকার মানুষ। গাড়ি চলাচলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। এমন দুর্ভোগ থাকবে পুরো বর্ষা মৌসুমজুড়েই। কারণ বর্ষার মৌসুমের পরেই শুরু হবে কার্পেটিংয়ের কাজ, বললেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সরেজমিন দেখা গেছে, রাস্তাজুড়ে কাদামাটিতে ভরপুর। ছোট-বড় গর্তে জমে আছে পানি। কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু। পায়ে হেঁটে চলাই দুষ্কর। বাধ্য হয়ে পানি মাড়িয়েই চলছে পথচারীরা। ফুটপাতে চলাচল করবে তারও কোনো উপায় নেই দখলের কারণে। এরমধ্যে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে হেলেদুলে, থেমে থেমে।
স্থানীয়রা জানান, মে মাসের মাঝামাঝিতে রাস্তাটির কিছু অংশে উন্নয়ন কাজ করা হয়। কিন্তু কাজ অর্ধেক করেই ফেলে রাখা হয়েছে বর্ষার অজুহাতে। কার্পেটিং না করায় বৃষ্টিতে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও পানি জমে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন দাশ জানান, ‘সামনে বর্ষা মৌসুম জেনে কাজ ধরা হল। ধরে আবার অর্ধেকে ফেলে রাখা হয়েছে। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা এর মত অবস্থা। একটু আধটু বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তা কাঁদামাটিতে ভরে গিয়ে মানুষের চলাচলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের পোহাতে হচ্ছে।
কয়েকজন গাড়ি চালক বলেন, রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় ছোট ও বর্ড় অনেক ও উঁচু-নিচু হয়ে যাওয়ায় গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চালানো যাচ্ছে না। ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন। বাড়ছে দুর্ভোগ, ঘটছে দুঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহনের বিভিন্ন অংশের।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার আলী হোসাইন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘কার্পেটিংয়ের কাজ হবে বর্ষার মৌসুমের পর। বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি উঠে যায়। মানুষ ও গাড়ি চলাচলে কষ্ট হয়। এজন্য রাফ কাজ হিসেবে এবং অনুরোধে এতটুকু করা হয়েছে। না হয় কাজ শুরুর কথা ছিল কোরবানের পর।’ রাস্তায় রাখা খালের আবর্জনাগুলো সরিয়ে নিলে রাস্তাটির পুনরায় মেরামত করার কথা জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সির এ কে এম আরিফুল ইসলাম ডিউক বলেন, ‘কে বি আমান আলী রোডের টেন্ডার হয়েছে। বৃষ্টির মৌসুমে কাজ শুরু করলে হুট করে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এজন্য একটু দেরি হচ্ছে।’ তিনি সরেজমিন রাস্তাটি দেখার কথা জানান।