দুর্ভোগ কমবে ছয় গ্রামের মানুষের

ব্যক্তিগত উদ্যোগে সড়ক মেরামত

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় অঞ্চলের একটি ইউনিয়ন পুর্ববড় ভেওলা। আর এই ইউনিয়নের একটি জনপদের নাম কদ্দাছড়া। বছরের বারোমাস কদ্দাছড়ার চারপাশে থাকে হাঁটু সমান পানি। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো ততটা উন্নতি ঘটেনি। অবশ্য দুইবছর আগে চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর (পিআইও) বিভাগের অধীনে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ ও পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ যৌথভাবে কদ্দাছড়া খালের উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণ করেন। সেই থেকে পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের কদ্দাছড়াবাসী চলাচলে একটু উন্নত জীবন পেলেও এলাকার ভেতরের অংশের গ্রামীণ সড়কগুলো রয়েছে ভগ্নদশায়। জানা যায়, উন্নয়নবঞ্চিত কদ্দাছড়া জনপদে বেহালদশায় পরিণত হওয়া গ্রামীন সড়কগুলো ভেঙে একেবারে নাজুক অবস্থা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে জনসাধারণ কিছুটা স্বস্তিতে চলাচল করতে পারলেও বর্ষামৌসুমে হাঁটু কিংবা কোমর সমান কাদামাটি পেরিয়ে গ্রামীণ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।এলাকাবাসীর দাবি, কদ্দাছড়া লাল মসজিদের সামনে হয়ে যে রাস্তাটি সালেহ নগরে গেছে সেই রাস্তাটির বেহাল দশা চরমে। গাড়ি চলাচল তো দুরের কথা মানুষ চলাচলও প্রায় কষ্টসাধ্য। এই একটি রাস্তা দিয়ে পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের হাসপাড়া, মুবিনপাড়া, পশ্চিম সিকদারপাড়া, ফজুমিয়াজির চর, বানিয়ারচর ও চরপাড়াসহ আশে-পাশ এলাকার হাজারো মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তাটির বেহালদশার কারণে সর্বসাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দিনের পর দিন। আশার কথা হচ্ছে, ইউনিয়নের অবহেলিত জনপদ কদ্দছড়া ও আশে-পাশের এলাকার মানুষের এই দুর্ভোগ লাগবে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি কামরুজ্জামান সোহেল। যিনি ইতোমধ্যে নিজের অর্থায়নে মাটি দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার অংশের সড়কের বিভিন্নস্থানে মেরামত করে দিয়েছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তরুন সমাজকর্মী কামরুজ্জামান সোহেল বরাবরেই ভালো কাজে অংশিদার হন। তিনি ব্যক্তিগত তহবিলের অর্থায়নে সড়ক মেরামত করে দিয়েছেন। সড়কটি সংস্কার হলে চলাচলে হাজারো মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ কমবে।