দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রধান হাব হবে বন্দর

সভায় কমডোর (অব.) জোবায়ের আহমদ

চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নের জন্য বিষয়ভিত্তিক গবেষণালব্দ প্রতিবেদন দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন ও গবেষয়ণা পরিষদ এর টেকনিক্যাল কমিটির প্রতি অনুরোধ জানান চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন ও গবেষণা পরিষদ এর সভাপতি কমোডোর (অব.) জোবায়ের আহমদ। গতকাল বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন ও গবেষণা পরিষদ এর এক সভা সংগঠনের সভাপতি কমডোর (অব.) জোবায়ের আহমদ এর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর কেবি আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর ভৌগলিক অবস্থার কারণে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নৌ ব্যবসা বাণিজ্যের মালামাল হ্যান্ডলিং এর অন্যতম প্রধান হাব হিসাবে পরিগণিত হবে। তার জন্য এখন থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কার্গো/কন্টেইনার  হ্যান্ডলিং সামাল দিতে ও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্র্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুসারে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অর্থ দিয়ে বন্দরের ব্যয় মিটিয়ে বন্দরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব বিধায় বন্দরের রক্ষিত অর্থ দিয়ে বন্দরের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা যথাযথ হবে বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন। এতে বাংলাদেশের সার্বিক জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, ফিজিবিলিটি স্টাডি ছাড়া বন্দরের জন্য কোন প্রকল্প গ্রহণ করা ও অপচয়মূলক কোন খাতে বন্দরের প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত হবে না।

সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর বন্দরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্তৃপক্ষ এর সাবেক সদস্য (প্ল্যানিং অ্যান্ড এডমিন) বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী হোসেন বাবুলকে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে পরিষদ এর সভায় পেশ করার অনুরোধ জানানো হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ইঞ্জি. এম এ সবুর, ইঞ্জি.সলিমুল্লাহ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাভোকেট মা. মাহফুজুর রহমান খান, জসিম উদ্দিন বাবুল, অ্যাভোকেট রনাঙ্গ বিকাশ চৌধুরী, মো. জামাল উদ্দিন, আবু জাফর আজাদ, কালাম চৌধুরী, অ্যাভোকেট সাজ্জাদুর রহমান বাচ্চু, মো. শাহাবুদ্দিন, তপন চক্রবর্তী, মো. শরিয়তউল্লাহ, আব্দুর রহমান সিকদার, অ্যাভোকেট প্রণব কান্তি পাল, অ্যাভোকেট রেভা বড়–য়া, মুছা আলনুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি