জয় পেল কামাল এ খান একাদশ

এ জেড এম হায়দার :

করোনার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বড় পরিসরে মুজিববর্ষ টুর্নামেন্ট আয়োজন করে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা এক অনন্য রেকর্ড করেছে। এশিয়ার কোন অঞ্চলে এ সময় বড় কোন ফুটবল আসর এখনো আয়োজন হয়নি। আর গতকাল দ্বিতীয় দিনের খেলায় টাইব্রেকারে ২২টি শট হয়ে স্থানীয় মাঠে আরেক রেকর্ডের ইতিহাস গড়েছে ডা. কামাল এ খান ও এস এম কামালউদ্দিন একাদশ। এতে সাডেন ডেথে ৬-৫ গোলে জিতে ডা. কামাল এ খান একাদশ ২ পয়েন্ট নিজেদের ঝুলিতে নিয়েছে। আর এক পয়েন্ট অর্জন করে হায়দার কবির প্রিন্সের দল এস এম কামালউদ্দিন একাদশ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ খেলা নির্ধারিত ৯০ মিনিট ১-১ গোলে ড্র ছিল। এ সময় এস এম কামালউদ্দিন একাদশের বোরহান ও ডা. কামাল এ খান একাদশের জাহিদুল গোল করেন। ম্যাচসেরা বিজয়ী দলের মুন্নার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিজেকেএস যুগ্ম সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম। আজ খেলার বিরতি। আগামীকাল আবু তাহের পুতু ও রফিক আহমেদ একাদশ বিকেল ৫টায় মাঠে নামবে।
বহু প্রতীক্ষিত মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্টে গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে অগোছালো থেকে দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দে ফিরে এবং পিছিয়ে থেকে সমতা আনতে সক্ষম হয় ডা. কামাল এ খান একাদশ। অধিকাংশ সময় আক্রমণ রচনায় এগিয়ে থেকে এস এম কামালউদ্দিন একাদশ ১ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে।
১৮ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া সুযোগ হাতছাড়া হয় কামাল এ খান একাদশের। মুন্নার কর্নারে রাসেলের হেড কিপার মিনহাজের হাতে চলে যায়। ৭ মিনিট পর লিড নিয়ে স্বস্তিতে থাকে এস এম কামাল একাদশ। বক্সের বামপ্রান্তে রিপনের বাড়ানো বল আায়ত্বে নিয়ে একজন ডিফেন্ডারকে ডজ করে বুদ্ধিমত্তার সাথে বোরহান ফাঁকা জালে প্লেস করেন (১-০)। ৪০ মিনিটে রাব্বির বক্সে পাঠানো বল আয়ত্বে নিতে না পারায় বোরহান নিজের দ্বিতীয় গোল থেকে বঞ্চিত হন। ২ মিনিট পর জাহিদুলের দূর্দান্ত শট কিপার মিনহাজ ফিস্ট করলে সমতা আনা সম্ভব হয়নি খান একাদশের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে উজ্জীবিত হয়ে তারা প্রতিপক্ষের উপর চাপ প্রয়োগ করে গোলের জন্য একাধিক সুযোগ করতে সক্ষম হয়। এ অর্ধের ১৫ মিনিটে গোলমুখে জটলা থেকে জাহিদুলের শট কিপারের গায়ে লেগে প্রতিহত হলে হতাশা বাড়ে এজহারুল হক টিপুর দলের। শেষ পর্যন্ত ২২ মিনিটে হতাশা দূর হয় তাদের। বদলি মহিবুল্লার বামপ্রান্তের সেন্টারে গোলমুখে ফাঁকায় থেকে টোকা দিয়ে জাহিদুল জালের ঠিকানা খুজে পান (১-১)। বাকি সময় আর কেউ বল জালে পাঠাতে না পারায় টাইব্রেকারে ফলাফল নির্ধারণ হয়।
টাইব্রেকারে প্রথম ৫ শটে উভয়ে ১টি করে গোল করে। পরবর্তীতে বাইরে বল গেলে ও কিপারের কৃতিত্বে ১১তম শটে গড়ায়, যা চট্টগ্রামের ফুটবল ইতিহাসে নতুন রেকর্ডের পাতায় স্থান পেয়েছে। কামাল এ খান একাদশের কিপার উত্তম বড়–য়া প্রতিপক্ষ দলের রাব্বি, দিদারুল ও সুমন দে’র শট প্রতিহত করেন। আর কামালউদ্দিন একাদশের অধিনায়ক জাতীয় তারকা শাখাওয়াত রনি’র শট সাইডবারে, আলাউদ্দিন ও সাগর বাইরে পাঠান। বল জালে জড়াতে পেরেছেন বাবর, সাদ্দাম, রাজিব, মিনহাজ ও উত্তম। কামাল এ খান একাদশের মুন্না, জমির, পাভেল, আখতারুজ্জামান, মহিবুল্লাহ ও রাসেল বল জালে পৌঁছাতে পেরেছেন। উত্তম বড়–য়া, প্রকাশ, ইয়াসিন ও বাবু’র শট কিপার মিনহাজ প্রতিহত করেন। জাহিদুলের শট সাইডবারে লেগে প্রতিহত হয়।