জ্ঞানের তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারবে জ্ঞান পিপাসুরা : সুজন

চসিক পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘লাইব্রেরি থেকে জ্ঞান পিপাসুরা জ্ঞানের তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারবে।’
গতকাল সোমবার বিকাল ৩টায় নগরীর লালদীঘির দক্ষিণ পাড়স্থ চসিকের নব নির্মিত ভবনের কমিউনিটি হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন এ কথা বলেন।
চসিক প্রশাসক আরো বলেন, এমন দিনে লাইব্রেরি উদ্বোধন করছি যেদিনে পাকিস্তানি হানাদাররা নিশ্চিত পরাজয় জেনেও জাতির মেধাকে কবর দেওয়ার জন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এই বুদ্ধিজীবী দিবসে লাইব্রেরি উদ্বোধন করে তাদের চপেটাঘাত করলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন বলেন, চট্টগ্রামের প্রাচীন ও অত্যন্ত সমৃদ্ধ লাইব্রেরি নতুন করে পুনঃজীবিত করার জন্য চসিক প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই পুনঃজীবিত লাইব্রেরি চট্টগ্রাম নয়, সারা বাংলাদেশের লোককে জ্ঞানের আলোতে আলোকিত করবে।
তিনি আরো বলেন, বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মিত এই লাইব্রেরিতে ১৯৫০’র দশক থেকে ৬০’র দশক পর্যন্ত আমার জীবনের বহুঘণ্টা অতিবাহিত করেছি। তখন এই লাইব্রেরিতে এমন এমন দুষ্প্রাপ্য বই ছিল যা অন্য কোথাও সহজে পাওয়া যেত না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদসহ লাইব্রেরি ও চসিকের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ১৯০৪ সালে চট্টগ্রাম পৌরসভার প্রথম ভবনে চিটাগাং মিউনিসিপ্যাল লাইব্রেরি নামে এ পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৩ সালে লালদীঘির পাড়ে চসিক ভবনের ৩য় তলায় এই লাইব্রেরি স্থানান্তরিত হয়। স্বাধীনতার পর ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি’ নামে নামকরণ করা হয়। ২০১৭ সালের ১৯ শে অক্টোবর চসিক ভবনের পুনঃনির্মাণের জন্য পাবলিক লাইব্রেরি নগরের বিরিরহাটের ‘চসিক আরবান হেলথ কমপ্লেক্স সেন্টারের’ ৩য় তলায় স্থানান্তরিত হয়। দীর্ঘ ৩ বছর বন্ধ থাকার পরে লাইব্রেরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও বই পড়ার জন্য পাঠককে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।