জরুরি ভিত্তিতে চট্টগ্রামে চিকিৎসা সুবিধা বাড়াতে হবে

ঢাকার পর করোনাভাইরাসের হটস্পট চট্টগ্রাম। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সে সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মাঝে করোনা আক্রান্ত জটিল রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর-আইসিইউর সংকট দেখা দিয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের মধ্যে কেবল চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দশটি আইসিইউ সেবা চালু রয়েছে। সরকার পর্যায়ে নির্ধারিত অপর প্রতিষ্ঠান ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ সুবিধা নেই।
অন্যদিকে মহামারি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার এই দুঃসময়ে নগরের বেসরকারি হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালু করা সম্ভব হয়নি। করোনা সংক্রমণ শরু হওয়ার পর চট্টগ্রামে চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও বিআইটিআইডি হাসপাতাল। পাশাপাশি প্রস্তুত রাখার কথা ছিল রেলওয়ে হাসপাতাল, বন্দর হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত হাসপাতালগুলো।
শুরুর দিকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল বন্ধ থাকা হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালটি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হবে। কিন্তু এতদিন পেরিয়ে গেলেও এবং বর্তমানে হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবার অপ্রতুলতা সত্ত্বেও শুধুমাত্র সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এই বেসরকারি হাসপাতালটি চালু করা যাচ্ছে না। সুপ্রভাতের প্রতিবেদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, জনবল সংকটের কারণে এটি চারু করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে অবহিত করা হয়েছে। বর্তমানে শয্যা সংকটের কথা বললে তিনি বলেন, হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালু হওয়ার ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা আসতে দেরি হয় তাহলে আমরা চট্টগ্রামের ১২টি হাসপাতাল পর্যায়ক্রমে অধিগ্রহণ করব।
বর্তমানে দীর্ঘ প্রায় দুই মাসেও যেখানে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালু করতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সেখানে তারা আরও ১২টি হাসপাতাল অধিগ্রহণের কথা ভাবছে। কী আশ্চর্য? আসলে শুরু থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্রুত ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মত সক্ষমতা দেখাতে পারেনি। ফলে পুরো বিষয়টি আর গুছিয়ে সম্পাদন করতে পারছে না।
এদিকে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। লকডাউন এলাকার পরিধিও বাড়ছে প্রতিদিন। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চিকিৎসাসুবিধা বৃদ্ধি করতে না পারলে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকবে তা কল্পনাও করা যাচ্ছে না।
কাজেই আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরও কর্মক্ষমতা এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি জানাব। সে সঙ্গে চিকিৎসাসেবার পরিধি বাড়িয়ে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। এ বিষয়ে কোন ধরনের গাফেলতি মার্জনাযোগ্য হবে না।