চসিক নির্বাচন: ৫ আগস্টের মধ্যে ভোট হচ্ছে না

সুপ্রভাত ডেস্ক :
করোনাভাইরাস মহামারির পাশাপাশি অতি বর্ষণ ও পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকায় ৫ আগস্টের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট করা সম্ভব হবে না বলে সরকারকে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর।
মঙ্গলবার ইসির উপ সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের কথা স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন (সিটি করপোরেশন) আইনে বলা হয়েছে, করপোরেশনের প্রথম সভার তারিখ থেকে পাঁচ বছর হবে এর মেয়াদ। আর করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়োর আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।
আ জ ম নাছির চট্টগ্রামের মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০১৫ সালে ৬ আগস্ট। সে হিসাবে এ সিটির বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট।
মেয়াদপূর্তির ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে ২৯ মার্চ ভোটের তারিখ রেখে তফসিলও দিয়েছিল ইসি। কিন্তু মহামারির কারণে ভোটের সপ্তাহ খানেক আগে ২১ মার্চ তা স্থগিত করা হয়।
মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনও অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া এ মৌসুমে অতি বৃষ্টি ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকে।
“এসব বিবেচনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়াদকালের মধ্যে অর্থাৎ ৫ অগাস্টের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে না বলে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।”
স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর আগে বলেছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হলে তারপর তারা করণীয় ঠিক করবেন। নির্বাচন সম্ভব না হলে নির্বাচন কমিশনের মতামত নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
আইনে বলা হয়েছে, নতুন সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করা হলে অথবা কোনো সিটি করপোরেশন বিভক্ত করা হলে অথবা কোনো সিটি করপোরেশন মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সরকার নতুন সিটি করপোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে।
প্রশাসকের কাজে সহায়তার জন্য সরকার প্রয়োজন মনে করলে একটি কমিটিও করে দিতে পারবে। প্রশাসক এবং সেই কমিটির সদস্যরা মেয়র ও কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
তবে মেয়াদোত্তীর্ণ সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে ১৮০ দিনের বেশি দায়িত্বে থাকতে পারবেন না প্রশাসক।
জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, “৫ আগস্টের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন করা সম্ভব না হলে আমরা নির্বাচন কমিশনের মতামত নেব। তারপর সব কিছু পর্যালোচনা করে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।