চসিকের কার্যক্রম চলমান রাখার নির্দেশনা প্রশাসকের

নদী-নালা আবর্জনা ও বর্জ্যমুক্ত

চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন করোনা আক্রান্ত হয়েও ঘরে আইসোলেসনে থেকে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে অবহিত হচ্ছেন এবং সেগুলো সমাধানে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকলেও নগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকি। কোথাও কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে তা দ্রুত সমাধানের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ি। ইতোমধ্যে সামাজিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন খাল-নালা-নর্দমা আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ার খবর গণমাধ্যমে জানতে পেরে চসিকের যান্ত্রিক ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। এসকল সমস্যা সমাধানের জন্য ওয়াটসআপে ভিডিও কলের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম তদারকি করছি। আমার এই প্রয়াস দায়িত্ব পালনের শেষ দিন পর্যন্ত চলমান থাকবে।
প্রশাসক আরো বলেন, বাদশা মিয়া রোডের ওয়্যার সিমেট্রি একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এরই সংলগ্ন খালটি বহুদিন যাবৎ ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে আছে। এই খাল দিয়ে পানি চলাচলের পথ বাধামুক্ত করতে এবং জমে থাকা আবর্জনা অপসারণ করতে চসিকের যান্ত্রিক ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের নিয়োজিত প্রায় শতাধিক জনবল দিয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শুরু করে শনিবার বিকেল পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ওয়্যার সিমেট্রি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত একটি সমাধিস্থল এবং এর আশেপাশে অভিজাত শ্রেণির লোকেরা বসবাস করেন। যেহেতু তারা সচেতন নাগরিক তাই তাদেরও কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমি বারবার উল্লেখ করছি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীরও দায়িত্ব রয়েছে। আমরা যদি নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি ও খাল নালায় ময়লা আবর্জনা না ফেলি তাহলে কোনভাবেই খাল নালাগুলো ভরাট হবে না, এতে করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহও চলমান থাকবে এবং নগরবাসী জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন বছরের পর বছর আবর্জনার ভাগাড় হয়ে পড়ে থাকা ২ নম্বর গেইটস্থ চশমা হিল সংলগ্ন খালের আবর্জনা ও মাটি অপসারণেও শুক্রবার সকাল থেকে কাজ করছে পরিচ্ছন্নতা এবং যান্ত্রিক বিভাগ। উক্ত খাল থেকে উভয় বিভাগের সমন্বয় এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগের শতাধিক সেবকের মাধ্যমে ইতোমধ্যে পাঁচশত টন মাটি ও আবর্জনা অপসারণ করে গতকাল বিকেলে পানি চলাচলের পথ সুগম করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি