চন্দনাইশে অবৈধ ৪ ইটভাটা ধ্বংস

পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান

সংবাদদাতা, চন্দনাইশ :
চন্দনাইশে হাইকোর্টের নির্দেশে উপজেলায় বাগিচাহাট হাশিমপুর খান বটতলে ২টি ও কাঞ্চনাবাদ এলাহাবাদে ২টিসহ অবৈধ ৪টি ইটভাটা ধ্বংস করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
গতকাল রোববার চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর এলাকায় অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ।
এ অভিযান পরিচালনায় কাঞ্চনাবাদ বাদামতল এলাকায় আসলে ইটভাটার লোকজন প্রথমে বাধা দেয়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার এস এম আলমগীর ও চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরীর নির্দেশে ইটভাটার কাঁচাইট ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি দিয়ে ধ্বংস করে। ইট পোড়ানোর জন্য সাজিয়ে রাখা পুরো ভাটা ভেকু মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর নেতৃত্বে অভিযানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী, র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এসপি রকিবুল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের পরিদর্শক নুর হাসান সজীবসহ র‌্যাব-৭, চন্দনাইশ থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার বাগিচাহাট হাশিমপুর খান বটতল এলাকার কেবি খাজা বিক্স ফিল্ড ও টু স্টার বিক্স ফিল্ড এবং কাঞ্চনাবাদ এলাহাবাদ এলাকায় কাঞ্চননগর ব্রিকস ও চৌধুরী ব্রিকসসহ ৪টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ভাটাগুলো ধ্বংস করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুসারে পরিবেশ রক্ষার জন্য অবৈধ ইটভাটাগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সকল উপজেলায় এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হবে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামের যে সব অবৈধ ইটভাটা রয়েছে সেগুলো ভেঙে ফেলা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী চন্দনাইশে মোট ৩২টি ইটভাটা রয়েছে, তৎমধ্যে ৫টিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে বাকি ২৭টিতে ছাড়পত্র নেই।
ইটপ্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ অনুযায়ী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, বন বিভাগের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। অপরদিকে, ইটভাটার আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যে ইটভাটাগুলো ধ্বংস করা হয়েছে সেগুলো গড়ে তোলার সময় কর্তৃপক্ষ নির্বিকার ছিল।