চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ২৩৫ জনে

করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফনে যথেষ্ঠ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়
নতুন করে মহানগরে ৮৯, উপজেলায় ৬২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লকডাউনের সিদ্ধান্তের দিনে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে ১৫১ জন নতুন করে শনাক্ত হলো। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৮৯ জন ও বিভিন্ন উপজেলায় ৬২ জন। গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৭০৩টি নমুনার মধ্যে ১৫১ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। আর নতুন করে ১৫১ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রানেত্মর সংখ্যা দাড়ালো ৫ হাজার ২৩৫ জন। এদের মধ্যে সুস’ হয়ে বাড়ি গেছে ৩৭১ জন এবং মারা গিয়েছে ১১৭ জন।

সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৩৫টি নমুনার মধ্যে ৫১টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ৫১ জনের মধ্যে ২৮ জন মহানগরের এবং ২৩ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ১০ জনের, এই ১০ জনের সকলে উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৭৬টি নমুনার মধ্যে ৪৮ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, ৪৮ জনের মধ্যে ৪৬ জন নগরীর এবং ২ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫৩টি নমুনার মধ্যে ৩৫ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ৩৫ জনের মধ্যে ৯ জন মহানগরীর এবং ২৬ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১০ জনের নমুনায় ১ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং তিনি উপজেলার বাসিন্দা। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৯৪ জনের নমুনায় ৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের সকলে নগরীর বাসিন্দা।

উপজেলাগুলোতে আক্রানত্ম হওয়া ৬২ জনের মধ্যে লোহাগাড়ার ২ জন, সাতকানিয়ায় একজন, বাঁশখালীতে ৫ জন, আনোয়ারায় ১ জন, চন্দনাইশের চারজন, পটিয়ার ১৩ জন, বোয়ালখালীর ২ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১১ জন, ফটিকছড়িতে ৯ জন, হাটহাজারিতে ৯ জন, সীতাকুন্ডে ৪ জন ও মিরসরাইয়ের একজন রয়েছেন।

এদিকে গতকাল রোববার নতুন করে ১৫১ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৫,২৩৫ জন। এর আগে ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন,  ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন,  ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন,  ২১ মে  ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের  ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রানত্ম হয়েছিল।