চট্টগ্রামে ঈদের দিন মিলল ১০৩ করোনা রোগী

আনোয়ারায় করোনা আক্রান্তের দাফন করা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাব ও ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে নতুন করে ১০৩ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। এই ১০৩ জন শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৭৯৮ জন এবং এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১৪৬ জন ও মারা গেছেন ৫৩ জন। তবে দুই ল্যাবে ৩৮০টি নমুনা পরীক্ষায় ১০৫ জন করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে দুই জন ভিন্ন জেলার। এসব নমুনা ২২ থেকে ২৩ মে তারিখের মধ্যে দেয়া হয়েছিল।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়,  সোমবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ৫টি নমুনার মধ্যে ২টি পজিটিভ পাওয়া যায়। এই দুটি খাগড়াছড়ির জেলার। অপরদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩২৫টি নমুনার মধ্যে ১০৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল সোমবার ৩২৫ জনের নমুনার মধ্যে ১০৩ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। উপজেলার রয়েছে ১২ জন। উপজেলার ১২ জনের মধ্যে রয়েছে- সাতকানিয়ায় এক, আনোয়ারায় দুই, চন্দনাইশে দুই, পটিয়ায় পাঁচ ও হাটহাজারিতে দুই জন। অপরদিকে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল কোনো নমুনা পরীক্ষা ছিল না।

এদিকে আজ নতুন করে ১৭৯ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ১,৮৫৫ জন। এর আগে ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন,  ২১ মে  ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের  ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।