চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতিতে বিশিষ্ট নাগরিকদের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা পরিস্থিতির আশংকাজনক অবনতি ঘটায় ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন হয়েছেন চট্টগ্রামবাসী। সোমবার পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৯৯৫ জন। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার ধীরগতি ও স্বল্পতার কারণে আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে চলছে নানা অনিয়ম। এ অনিয়ম বন্ধ করে সরকারি খরচে চিকিৎসা প্রদান ও টেস্ট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অ্যাকশন এগেইনস্ট করোনা চট্টগ্রামের উপদেষ্টাম-লী ও বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ।
অ্যাকশন এগেইনস্ট করোনা চট্টগ্রামের উপদেষ্টাম-লী ও বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ এক বিবৃতিতে চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের প্রতি তিনটি দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘টেস্টের অপ্রতুলতার কারণে অসংখ্য মানুষ সংক্রমণ শনাক্তের বাইরে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই অবস্থায় সরকারি উদ্যোগে করোনা চিকিৎসার জন্যে যে হাসপাতালগুলো নির্ধারিত হয়েছে তাতে রোগীর অত্যধিক চাপে সেখানে কোন আসন খালি নেই। এছাড়া নতুন ঘোষিত হাসপাতালগুলো পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না বলে সরকারি মহলের লোকজনই স্বীকার করছেন।’
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ডাক্তারসহ সকল সেবাকর্মীর জন্যে পর্যাপ্ত জীবন সুরক্ষা সামগ্রী ও মানসম্পন্ন আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থাও হয়নি। আমাদের জানামতে, এখন পর্যন্ত ৩৩০ টি বেড এবং মাত্র ১০টি আইসিইউ দিয়ে চট্টগ্রামে করোনা যুদ্ধ মোকাবেলা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার সবকিছু স্বাভাবিক করে জনজীবন সচল করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন এতে পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতি ঘটবে। ফলে আমরা চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসার সু-বন্দোবস্তে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
বিবৃতিতে উল্লেখিত তিনটি দাবি হলো : ১. সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক রিকুজিশন করে সরকারি খরচে চিকিৎসা নিশ্চিত করা। ২. করোনা চিকিৎসার জন্য সরকার ঘোষিত হাসপাতালগুলো অবিলম্বে চালু করতে হবে। করোনা চিকিৎসার সকল হাসপাতাল জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। ৩. ব্যাপকহারে টেস্ট বাড়াতে হবে। বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন শ্রমিক অঞ্চলে টেস্ট সহজলভ্য করে দিতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, লেখিকা ফেরদৌস আরা আলীম, অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন হায়দার, অ্যাডভোকেট ভুলন ভৌমিক, অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী, কমরেড অশোক সাহা, কমরেড অপু দাশগুপ্ত, ডা. চন্দন দাশ, ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, অধ্যাপক কুন্তল বড়ুয়া, নূরুল আবচার, মো. ইয়াছমিন, অ্যাডভোকেট আমীর আব্বাস তাপু, কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি, অ্যাডভোকেট বিশুময় দেব, সত্যজিৎ বিশ্বাস, ধ্রুব জ্যোতি হোড় প্রমুখ।