চকবাজারে সেই চিত্র !

চকবাজার কাঁচাবাজারের সামনের রাস্তায় ময়লা-আবর্জনার স্তুপ পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে- সুপ্রভাত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সোমবার বিকাল ৪টা। চকবাজার কাঁচাবাজারের সামনের রাস্তায় ময়লা-আবর্জনার স্তুপ উঠে পড়েছে পাশের ফুটপাতেও। উৎকট দুর্গন্ধে ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের পরিবেশ। এর পাশ দিয়েই হেঁটে যাচ্ছে পথচারী, চলছে যানবাহন। একজন মহিলা আবর্জনা ঘাটাঘাটিতে ব্যস্ত। পাশের ফুটপাতটি ভ্যানগাড়ি ও আবর্জনায় দখলে, পথচারী হাঁটার কোনো উপায় নেই।
ধুনীরপুলের খালপাড়ের খালি জায়গায় অবাধে মানুষ খোলা পরিবেশে প্র¯্রাব করছে। এর পাশেই রয়েছে একটি হিন্দু ধর্মীয় উপাসনালয়। সোমবার সরেজমিন দেখা গেল এমন চিত্র।
এলাকাবাসীরা জানান, এসব দৃশ্য বহু পুরনো। চকবাজার উন্নত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আবর্জনার সেই পুরনো দৃশ্য পাল্টায়নি। এসব বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে তেমন একটা সুফল পাওয়া যায় না। ১-২ দিন কেবল তৎপরতা দেখা যায়।
এলাকার বাসিন্দা মো. ফারুক বলেন, ‘বাজারের ময়লা-আবর্জনা দিন-রাত ফেলা হয় রাস্তার উপর। বাজার কমিটির তদারকি ও জবাবদিহিতা নেই। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এলাকার মানুষ প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
জানতে চাইলে কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু জানান, ‘মানুষ সচেতন নয়। যে যখন পারছে ময়লা ফেলে চলে যায় রাস্তার উপর। নির্দিষ্ট সময় কেউ মানছে না।’ তবে জায়গাটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় বলে জানান তিনি।
এলাকার দোকান মালিক দীপক মিত্র বলেন, ‘গত দু’দিন ধরে রাস্তার উপর আবর্জনা পড়ে আছে। পরিষ্কারের খবর থাকে না। দুর্গন্ধে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। মুখে মাস্ক আছে বিধায় কোনোরকম রক্ষা।’
নরসিংহ মন্দিরের পুরোহিত সুকুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘এমন দৃশ্য প্রায় প্রতিদিনের। আবর্জনা-প্র¯্রাবের উৎকট দুর্গন্ধে নিত্যকাজ ও প্রার্থনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। মন্দিরে আসা ভক্তদের অভিযোগের শেষ নেই। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ও মৌখিক অনেক অভিযোগ করেছি কিন্তু সুফল পাইনি।’
পথচারী গৃহিনী মোছাম্মৎ ইসমত জাহান বলেন, ‘চকবাজারে বাজার করতে আসলেই চোখে রাস্তার উপর ময়লা-আবর্জনা পড়া থাকার দৃশ্য। মনে হয় এসব দেখার যেন কেউ নেই। করোনার কঠিন সময়ে যেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় উপর জোর দেওয়া হচ্ছে সেখানে এমন দৃশ্য আতঙ্ক ও ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।’
ওয়ার্ড সুপারভাইজার হাসানুজ্জামান সায়েম বলেন, ‘আমাদের ছোটগাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। গাড়িটি আজ (সোমবার) আসতে না পারায় এমন অবস্থা হয়েছে।’
সুপারভাইজার আরো জানান, ওয়ার্ডে গাড়ি আছে ২টা। আগে বিকালে ২ ট্রিপ ও রাতে ২ট্রিপ ৪ ট্রিপ করে দুটা গাড়িতে ৮ট্রিপ ময়লা নিত। এখন ট্রিপ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪টা। রাতের গাড়ি বন্ধ। দিনে গাড়ি আছে ৪টা। এখন ৪ট্রিপ কম নেওয়া হচ্ছে। ফলে এগুলোই আমাদের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে।’ রাতের মধ্যে (সোমবার) সবকিছু পরিষ্কার করার আশ্বাস দেন তিনি।