গ্রামাঞ্চলে শিক্ষাক্ষেত্রে ঝরে পড়া রোধে সমন্বিত উদ্যোগ অপরিহার্য

চবি রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরামের ওয়েবিনার

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক আন্তরিকতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুসম্পর্কের মেলবন্ধন সম্প্রসারণে করোনাকালীন শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া অনেকটা সম্ভব।
পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় শিক্ষক, শিক্ষক সংগঠনসমূহ, সচেতন অভিভাবক মহল, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দের সমন্বয়ে জেলা, উপজেলা ভিত্তিক কমিটি গঠন করে নিয়মিত মনিটরিং এর ব্যবস্থা চালু রাখলে ও এর সাথে গঠিত কমিটির মতামত, পরামর্শের আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে দীর্ঘদিন যাবত স্থবির থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষার্থীদের ঘুরে দাঁড়াতে ইতিবাচক ফল দিতে পারে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান মনে না করে বরং এই খাতে প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দিয়ে মানবসম্পদ তৈরির প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে মত দেন রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ নুরুল মোমেন চৌধুরী।
রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’র উদ্যোগে রাঙ্গুনিয়া ও তৎসংলগ্ন এলাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের অভিজ্ঞ শিক্ষকম-লীদের নিয়ে করোনাকালীন শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি ও তা থেকে উত্তরনে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করতে ‘সেশনজটে শিক্ষার্থী ও ঘুরে দাঁড়াতে করণীয়’ শীর্ষক সরাসরি ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’র সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাবের সঞ্চালনায় গতকাল ২৭ জানুয়ারি সংগঠনের অফিশিয়াল ফেইজবুক পেইজ থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া পদুয়া ডিগ্রি কলেজের রসায়নবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ খাজা বাহাউদ্দিন, রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ আব্দুল মাবুদ, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবিত্রী দাশ, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. ইফতেখার হোসাইন, রাঙ্গুনিয়া মহিলা কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ ফজলুল কাদের, রাঙ্গুনিয়া খিলমোগল রসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বেলাল হোসেন, রাঙ্গুনিয়া আদর্শ বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আবু সায়েম, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া শিলক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জামাল শাহ, পোমরা বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সেলিমুল হক, রাঙ্গুনিয়া আদর্শ বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শিক্ষা শাখার সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর মো. রহিম উদ্দিন সিকদার, খুরুশিয়া দ্বারিকোপ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অর্পণ বড়ুয়া প্রমুখ। বক্তারা বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সম্মিলিত আন্তরিক প্রচেষ্টা নিয়ামকের ভূমিকা পালন করতে পারে। গ্রামাঞ্চলে শিক্ষাক্ষেত্রে ঝরে পড়া রোধে সমন্বিত উদ্যোগ অপরিহার্য। করোনার দীর্ঘ বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের যাতে বিঘœ না ঘটে সেদিকে নজর দিতে হবে। মরণঘাতী করোনার করাল গ্রাসে কিংবা দারিদ্র্যতায় পর্যবসিত হয়ে যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের ঝরে পড়ার ঘটনা বৃদ্ধি না পায় সেজন্য পরিবার, সমাজ ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি যাতে শিক্ষার্থীদের অনুকূলে থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। বিজ্ঞপ্তি