খাল ভরাট হলে দায় বর্তাবে স্থানীয়দের ঘাড়ে

সুজনের বার্তা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নির্দেশে চলমান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর অন্যতম পানি চলাচল পথ চশমা হিল খালটিকে আবর্জনা মুক্তকরণ অভিযানের কাজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকেই শুরু হয়। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ২টি স্কেভেটর, ১০টি ডাম্পিং ট্রাক যুক্ত হয় এবং বর্জ্য অপসারণে চসিকের পরিচ্ছন্ন ও যান্ত্রিক বিভাগের কর্মকর্তাসহ প্রায় ১০০ এর অধিক কর্মী নিয়োজিত ছিলেন। এ সময় ভিডিওকলে যুক্ত হয়ে প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন জানান, রুবি গেট থেকে ষোলশহর ২ নম্বর গেট পর্যন্ত প্রায় সোয়া ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি বছরের পর বছর ধরে পলিথিন, প্লাস্টিকসহ অন্যান্য গৃহস্থালী বর্জ্য ময়লা-আবর্জনায় ভাগাড়ে পরিণত হয়ে আছে। খালটির বেশ কিছু অংশ ভরাট হয়ে গেছে এবং খালের মাঝখানে বড় বড় গাছ-গাছালি বেড়ে ওঠায় পানি চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে। তিনি আরো বলেন, এই খালটির আশে-পাশের স্থানীয় অধিবাসীরা দীর্ঘ দিন থেকে এটাকে ডাস্টবিন বানিয়ে ফেলে চরম অসচেতনার পরিচয় দিয়ে আসছেন। খালটির পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বর্জ্য ও আবর্জনা মুক্ত করার পর আবারও এটা যদি পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায় তাহলে তার দায় স্থানীয়দের ওপর বর্তাবে। এ জন্য যারা দায়ী তাদের আইনের আওতায় এনে দণ্ডিত করা হবে। তাদেরকে দিয়েই খালটি পরিষ্কার করা হবে বলে প্রশাসক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলমান এই কর্মসূচিতে প্রায় ২০০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মির্জা ফজলুল কাদের, প্রশাসকের একান্ত সহকারী সচিব স্বরূপ দত্ত রাজু, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি