ক্লাব ছাড়তে প্রস্তুত মেসি

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
তাহলে কী কাতালান ক্লাবের সঙ্গে মেসির এতোবছরের সম্পর্কে দাড়ি পড়ছে অবশেষে? আগে বহুবার এমন গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। কিন্তু সম্ভাবনা এতো জোরালো কোনওবার হয়নি। আর না হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেরিয়ারে এমন লজ্জার হারের মুখোমুখি যে কখনও হতে হয়নি আর্জেন্তাইন মহাতারকাকে। ক্লাবের বর্তমান ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সম্পর্কে খোটাখুটি লেগেই ছিল ফুটবল মায়েস্ত্রোর, কিন্তু বায়ার্নের কাছে আট গোল হজমের পর ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন যেন স্ফুলিঙ্গ হয়ে দেখা দিচ্ছে। ফলস্বরূপ চুক্তি শেষ হওয়ার একবছর আগেই বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসি।
সংবাদ সৌজন্যে ব্রাজিলিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক মার্সেলো বেখলার। যিনি প্রথম নেইমারের বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজি যোগদানের খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন। মার্সেলো সংবাদ সংগ্রহ করে যে তথ্য পরিবেশন করেছেন তার সারমর্ম এটাই যে, যথেষ্ট হয়েছে। ২০২১ অবধি আর নয়। চলতি গ্রীষ্মেই আমি ক্লাব ছাড়তে চাই। ঠিক এমনটাই প্রাণাধিক প্রিয় ক্লাবের ম্যানেজমেন্টকে জানিয়ে দিয়েছেন লিও। কিন্তু বার্সেলোনা ছেড়ে মেসি যাচ্ছেন কোন ক্লাবে? মার্সেলোর রিপোর্ট অনুযায়ী ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাব, সঙ্গে ইন্টার মিলান এবং পিএসজি’র সঙ্গে কথাবার্তা চলছে বাঁ-পায়ের জাদুকরের।
প্রাক্তন স্কটিশ ফুটবলার তথা বর্তমান ফুটবল বিশেষজ্ঞ গ্রেম সৌনেস আবার দাবি করেছেন, যা পরিস্থিতি তাতে লাল ম্যানচেস্টার মেসিকে নেওয়ার জন্য শেষ অবধি ঝাঁপাতে প্রস্তুত। পাশাপাশি মেসির গায়ে স্কাই ব্লু জার্সি ওঠার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। সৌনেসের কথায়, ‘চলতি সপ্তাহটা ৩৩ বছরের আর্জেন্তাইনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আমি তো মেসিকে আগামী মরশুমে ম্যানচেস্টারেই দেখতে পাচ্ছি। তা সে ইউনাইটেড হোক বা সিটি।’
এছাড়াও বার্সেলোনার সঙ্গে লিওর গাঁটছড়া খুলে ফেলার একাধিক রিপোর্ট বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বয়ে আসছে। বায়ার্নের বিরুদ্ধে কলঙ্কের ম্যাচে একবারের জন্যও মেসিকে মেসিসুলভ ফুটবল ভঙ্গিতে পাওয়া যায়নি ম্যাচে। আলফোন্সো ডেভিয়েসের কাছে কার্যত বোতলবন্দী হয়ে মেসিকে দলের কদর্য ডিফেন্সের সাক্ষী থেকে যেতে হয়েছে ম্যাচে। আর গত ৭৪ বছরে সবচেয়ে লজ্জার হার হজম করার পর কাতালান ক্লাবের অন্দরসজ্জায় যে আমুল পরিবর্তন হবে সেটা নিশ্চিত। তবে সেটা মেসির ক্লাব ছাড়া দিয়েই শুরু হয় কীনা, এখন সেটাই দেখার। তবে বিশ্বজুড়ে নামী ক্রীড়া সাংবাদিক কিংবা ফুটবল পন্ডিতদের রিপোর্টে কিন্তু বিষয়টা নিয়ে তোলপাড়। খবর কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।