কোরবানির পশুর হাট শুরু বৃহস্পতিবার

পশুরহাট

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নগরীতে সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী পশুর হাট কাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আজ সকাল ১১টায় ষোলশহর বিবিরহাট পশুর বাজার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।

এবার কোরবানির পশুর হাটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ইজারাদারদের ১৮টি শর্ত দিয়েছে সিটি করপোরেশন। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে।

নগরীতে এবার চারটি অস্থায়ীসহ মোট ৭টি পশুর হাট বসছে। তিনটি স্থায়ী বাজার হচ্ছে ষোলশহর বিবিরহাট, সাগরিকা পশুর বাজার ও দেওয়ানহাট পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। অস্থায়ী বাজারগুলো হলো- কর্ণফুলী নূর নগর হাউজিং এস্টেট পশুর বাজার, সল্টগোলা গরুর বাজার, পতেঙ্গা কমল মহাজন হাট ও বিমানবন্দর সংলগ্ন টি কে গ্রুপের মাঠ। এসব পশুর হাট ঈদের দিনসহ ৯দিন চালু থাকবে।

আনুষ্ঠানিকভাবে আজ থেকে হাট বসলেও গত দুইদিন ধরে হাটে গরু আনতে শুরু করেছেন বেপারীরা। এরই মধ্যে বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে।

জানা গেছে, নগরীর বিবিরহাট ও সাগরিকা হাটে কুষ্টিয়া, নাটোর, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে কিছুসংখ্যক  বেপারী গরু নিয়ে চলে এসেছেন।

ইজারাদাররা বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই উত্তরাঞ্চলের বেপারীরা গরু নিয়ে চলে এসেছেন। গত দুইদিনে দুটি হাটে কিছু গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানান ইজারাদাররা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর ৭টি হাটেই গতকাল বুধবার থেকে কোরবানির পশু উঠে গেছে। গরুভর্তি ট্রাক হাটে ঢুকছে। হাসিল আদায়ের নির্ধারিত স্থানে রসিদ ও টাকা রাখার বক্স নিয়ে অপেক্ষা করছেন ইজারাদারের লোকজন। সবকটি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য জীবাণুনাশক স্প্রের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গরুর পাইকার, ক্রেতা ও আগ্রহী লোকজনের উদ্দেশে মাইকে করোনার সংক্রমণ রোধে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক পড়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। হাটে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন। লোকজন হাটে আসছেন। অনেকে দরদাম করছেন।

নগরীর ষোলশহর বিবিরহাটের ইজারাদার আবদুর রহিম সওদাগর বলেন, হাটে গরু এসে গেছে। কুষ্টিয়া, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বেপারীরা দুইদিন আগেই গরু নিয়ে এসেছেন। ক্রেতারাও হাট ঘুরে দেখছেন। কেনাবেচাও শুরু হয়ে গেছে।

নগরীর সাগরিকা পশুর হাটের ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অন্তত দেড় থেকে দুই হাজার গরু হাটে এসে গেছে। চট্টগ্রামের বাইরের কয়েকটি জেলা থেকে কিছু বেপারী ট্রাকে করে গরু নিয়ে এসেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে চালু না হলেও গত দুইদিন ধরে হাটে অনেক ক্রেতা এসে ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। কয়েকটি গরু বিক্রিও হয়েছে।