কুতুপালং ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড ৯ রোহিঙ্গা গ্রেফতার

অস্ত্র কার্তুজ কিরিচ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া :
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সপ্তাহব্যাপী চলা সংঘর্ষের ঘটনায় টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল পাহাড়ি এলাকা থেকে ৯ রোহিঙ্গাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫ সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি দেশে তৈরি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড কার্তুজ, ধারালো কিরিচ, লোহার রড ও গুলতি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে রশিদ আহমেদ (৩২), সলিম উল্লাহ (৫৫), শফিক আলম (২০), আব্দুল হামিদ (২০), মো. সাবের (৩২), মো. সালাম (৫০), মো. ইসমাইল (২৫), হারুনুর রশিদ (২৮), ফয়েজ (২২)। তারা সবাই উখিয়ার কুতুপালাং শিবিরের বাসিন্দা। তারা সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত বলে জানায় র‌্যাব। গতকাল সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব এ অভিযান চালায়।
কক্সবাজারে র‌্যাব : ১৫-এর ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান বলেন, কুতুপালংয়ের একটি ডাকাত দল টেকনাফের চাকমারকুল শরণার্থী শিবিরের পাহাড়ে অবস্থানের খবরে র‌্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এতে ৯ জন রোহিঙ্গা ডাকাতকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি দেশে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, ২০ রাউন্ড গুলি ও কিছু কিরিচ উদ্ধার করা হয়। ধৃতেরা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে কয়েকদিন ধরে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় এক নারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছিল। এরপর থেকে র‌্যাব ডাকাতদের ধরতে কয়েকটি শিবিরে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে রোহিঙ্গা ডাকাতেরা কুতুপালং ক্যাম্প থেকে পালিয়ে টেকনাফের চাকমারকুল শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। পরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সেখান তাদের আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব।
প্রসঙ্গত, কুতুপালংয়ের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপ ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরে গত ৫ দিনে নারীসহ খুন হয়েছে ৪ জন। এর আগে গত ৪ অক্টোবর ভোররাতে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই জন রোহিঙ্গা নিহত হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর একইভাবে সংঘর্ষে ১৫ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা আহত হয়।