করোনা পরীক্ষার কিট সংকট

সিভাসু থেকে কিট ধার নিল বিআইটিআইডি, বেকায়দায় চমেক
সালাহ উদ্দিন সায়েম :
চট্টগ্রামের দুটি ল্যাবে করোনা শনাক্ত পরীক্ষার কিট শেষ হয়ে গেছে। ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে মঙ্গলবার আর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) বুধবার কিট শেষ হয়ে যায়। বিআইটিআইডি ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) প্যাথলজি ল্যাব থেকে ১ হাজার কিট ধার নিয়ে নমুনা পরীক্ষা করছে। কিন্তু বেকায়দায় পড়ে গেছে চমেক। প্রতিষ্ঠানটি বিআইটিআইডির কাছে কিট ধার চেয়ে পায়নি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কিট সরবরাহের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে। এরমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বুধবার বিআইটিআইডির কাছে কিছু কিট ধার চেয়েছে। কিন্তু বিআইটিআইডির নিজেদেরই কিট শেষ হয়ে গেছে। তারা সিভাসু থেকে কিট ধার নিয়ে গত দুই দিন ধরে নমুনা পরীক্ষা করছে।
বিআইটিআইডির ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ সুপ্রভাতকে বলেন, মঙ্গলবারই আমাদের কিট শেষ হয়ে গেছে। আমরা সিভাসু থেকে ১ হাজার কিট ধার নিয়ে এখন নমুনা পরীক্ষা করছি। আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আমাদের কিট শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি বৃহস্পতিবারের মধ্যে বিআইটিআইডির জন্য কিট পাঠিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
চমেক থেকে কিট ধার চাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সিভাসু থেকে কিট ধার নিয়ে চলছি, তাদেরকে কীভাবে দেবো?
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেও কিটের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। রোববারের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চীন থেকে কিট আমদানির একটা চালান আসবে। এরমধ্যেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিআইটিআইডিকে চট্টগ্রামের প্রধান ল্যাব বিবেচনায় এনে কিছু কিট সরবরাহ করতে পারে বলে জানা গেছে। কিন্তু চীন থেকে রোববার কিট না আসলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কিট নাও পেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. এহতেশামুল হক সুপ্রভাতকে বলেন, আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কিট সরবরাহের জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। দেখা যাক, কী হয়।
বিআইটিআইডি ও চমেকে কিট শেষ হয়ে গেলেও ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট রয়েছে। তারা বিআইটিআইডিকে ১ হাজার কিট ধার দেওয়ার পরও তাদের কাছে আরো দেড় হাজার কিট রয়েছে বলে জানিয়েছেন ল্যাবটির প্রধান অধ্যাপক জুনায়েদ আহমেদ।
গত ৯ মে চমেকে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু হয়। ল্যাবটির দুটি পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বুধবার পর্যন্ত ল্যাবটিতে ৪ হাজার ৮০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিআইটিআইডিতে গত ২৬ মার্চ থেকে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা শুরু হয়। সেখানেও দুটি পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ল্যাবটিতে বুধবার পর্যন্ত ৮ হাজার ৩০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।