চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত আবারো একদিনে ২০০ পার হলো

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ২১৭, মারা গেল ৪ জন, সুস্থ ৯৫ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রামে গত ১৩ জুন ২৬৯ জন করোনা শনাক্তের পর ২০০ এর নিচে ছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার ৯২৬ নমুনায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২১৭ জন হয়েছে। এতে ১০ দিন পর আবারো তা ২০০ অতিক্রম করলো। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গত সোমবার (২২ জুন) ৯২৬ টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ২১৭ জনের। এই ২১৭ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৬৪ জন ও উপজেলার ৫৩ জন। আর এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রানেত্মর সংখ্যা ৬ হাজার ৬৯৯ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছে ১৪৮ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৭৯৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে মারা গেছে চার জন এবং সুস’ হয়েছে ৯৫ জন।

সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৬৪টি নমুনার মধ্যে ৫৫টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ৫৫ জনের মধ্যে ২৯ জন মহানগরের এবং ২৬ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০২টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৪০ জনের, এদের মধ্যে ২৯ জন নগরীর এবং ১১ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৯০টি নমুনার মধ্যে ৭৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, ৭৬ জনের মধ্যে ৭২ জন নগরীর এবং ৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫২টি নমুনার মধ্যে ২০ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ২০ জনের মধ্যে ৯ জন মহানগরীর এবং ১১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ১১৮টি নমুনার মধ্যে ২৬ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে, এদের মধ্যে ২৫ জন মহানগরীর এবং একজন উপজেলার বাসিন্দা। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের কোনো নমুনা ছিল না।

উপজেলাগুলোতে আক্রান্ত হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ৬ জন, সাতকানিয়ার পাঁচ জন, বাঁশখালীতে আটজন, চন্দনাইশে ৭ জন, পটিয়ায় ৪ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৫ জন, রাউজানে ৯ জন, হাটহাজারিতে ৫ জন ও সীতাকুন্ডে ৪ জন রয়েছেন।

এদিকে গত সোমবার নতুন করে ২১৭ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৬,৬৯৯ জন। এর আগে ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন,  ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন,  ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন,  ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন,  ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন,  ২১ মে  ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের  ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।