কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বঙ্গবন্ধুর বালুর ভাস্কর্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবং ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নির্মাণ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সর্ববৃহৎ বালুর ভাস্কর্য। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ব্র্যান্ডিং কক্সবাজার নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই ভাস্কর্য নির্মাণ করছে।
আজ ১৬ ডিসেম্বর মানববন্ধন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এটি উন্মুক্ত করা হবে।
ভাস্কর্যের আয়োজক ইশতিয়াক আহমেদ জয় জানান, মহান বিজয় দিবসে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী এবং কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে দেশবাসীকে আমরা একটি বার্তা দিতে চাই, সেটি হচ্ছে মৌলবাদী গোষ্ঠী জাতির জনকের ভাস্কর্য অপসারণের যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে সেই অপচেষ্টা কখনো সফল হবে না। জাতির জনক থাকবে মানুষের হৃদয়ে। বঙ্গবন্ধুর এই বালুর ভাস্কর্য নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্যের প্রতি যে অবমাননা করা হয়েছে তার প্রতিবাদে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে জাতির পিতার বৃহৎ এই বালুর ভাস্কর্য তৈরি করে কক্সবাজারবাসী এই বার্তা দেশবাসীকে দিতে চায় যে, পৃথিবী যতদিন আছে ততদিন জাতির পিতার অস্তিত্ব থাকবে।
ইতিপূর্বে এই সৈকতে বালু দিয়ে ভাস্কর্য তৈরি হলেও এত বড় ভাস্কর্য আর তৈরি হয়নি বলে জানান আয়োজকরা। যার উচ্চতা প্রায় ১০ ফুটের মতো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের একটি দল কামরুল ইসলাম শিপনের নেতৃত্বে এই ভাস্কর্য নির্মাণে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। গত ৫দিন যাবত তারা কাজ করছেন সৈকতের লাবণী পয়েন্টে।
তিনি আরও জানান, দুটি ভাস্কর্য এখানে তৈরি হচ্ছে একটি বঙ্গবন্ধুর ফ্রি স্ট্যান্ডিং ভাস্কর্য অপরটি রিলিফ ভাস্কর্য। মঙ্গলবার মধ্যে এই ভাস্কর্যের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন এই ভাস্কর্য তৈরির শিল্পীরা। সৈকতে ভ্রমণে আসা দর্শনার্থীরাও এই ভাস্কর্য দেখে আনন্দিত হবেন এমনটিই মনে করছেন শিল্পীরা। এই দুটি ভাস্কর্যের পাশাপাশি পদ্মা সেতুর একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করছেন কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের শিল্পীরা। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ভাস্কর্যগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এরপর এগুলো ভেঙে ফেলা হবে বলে জানান আয়োজকরা।