এবার রিটার্ন জমার রেকর্ড হচ্ছে

নগরীতে জাতীয় আয়কর দিবস পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা পরিস্থিতিতেও চট্টগ্রামে এবারের রেকর্ড সংখ্যক আয়কর রিটার্ন জমা হবে। জাতীয় আয়কর দিবস উপলক্ষে আয়কর বিভাগ চট্টগ্রাম আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে চট্টগ্রামের কর কমিশনাররা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গতকাল ছিল ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর রিটার্ন জমার শেষদিন ও জাতীয় আয়কর দিবস। বিকেলে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলেও গতকাল চট্টগ্রামের চার কর অঞ্চলে প্রায় দেড় লাখ রিটার্ন জমা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতবার এর সংখ্য ছিল এক লাখ ৩০ হাজার। এবার কর না হলেও ই-টিনধারীদের রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বর্ধিত সময়ে রিটার্ন জমার সংখ্যা আরো বাড়বে বলে কর কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
‘স্বচ্ছ ও আধুনিক কর সেবা প্রদানের মাধ্যমে করদাতাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল (৩০ নভেম্বর) সকালে আয়কর বিভাগ চট্টগ্রামের উদ্যোগে জাতীয় আয়কর দিবস পালন করা হয়। এ উপলক্ষে কর অঞ্চল-৪ চট্টগ্রামের অফিস প্রাঙ্গণে ফেস্টুন ও বেলুন উড়ানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কর অঞ্চল-৩, চট্টগ্রাম এর কমিশনার সৈয়দ মো. আবু দাউদ, কর অঞ্চল-২ এর কমিশনার জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ, কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী এবং কর আপীল অঞ্চল চট্টগ্রামের কমিশনার মো. হেলালউদ্দিন সিকদার। পরে কর অঞ্চল-৪ এর সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চার কর কমিশনার ছাড়াও অতিরিক্ত কর কমিশনার সফিনা জাহান, মো. মাহমুদুর রহমান, ও শামিনা ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার সাইফুল আলম, উপ কমিশনার তাপস কুমার চন্দ ও মঈনুল হক মজুমদার, কর আইনজীবী সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি ওমর ফারুক বক্তব্য রাখেন। অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত কর কমিশনার মনোয়ার আহমেদ, হেমল দেওয়ান, যুগ্ম কর কমিশনার,ভূবন মোহন ত্রিপুরা, মো. মাসুদ রানা, ফরিদ আহমেদ, ড. মো. কাওসার আলী, প্রতাপ চন্দ্র পাল, মো. শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন কর অঞ্চলের কর্মকর্তারা ও কর আইনজীবী সমিতি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিগত বছরগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে আয়কর র‌্যালি করার মাধ্যমে আয়কর দিবস পালন করা হলেও এবছর করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে রাজস্ব আহরণ প্রবৃদ্ধি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জাতীয় আয়কর দিবস-২০২০ পালন করা হয়েছে। আয়কর মেলার পরিবেশে এ বছর নভেম্বর মাসব্যাপী রিটার্ন গ্রহণ কার্যক্রমে রিটার্ন গ্রহণ, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র প্রদান, ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন সেবা প্রদান করা হয়।