এই ফুল কাছে পেলেই গিলে খায় ক্ষুদ্র প্রাণী

সুপ্রভাত ডেস্ক :
পৃথিবীতে প্রায় ৬০০ প্রজাতির মাংসাশী উদ্ভিদ রয়েছে। এদের মধ্যে পিচার প্লান্ট সবচেয়ে দর্শনীয়। কলসি বা পিচার সদৃশ অঙ্গের মাধ্যমে শিকার করার ফলে এদের এই নামকরণ।
এরা অনুর্বর ভূমিতেও বেড়ে উঠতে পারে। কারণ অধিকাংশ পুষ্টির যোগান আসে পোকামাকড় থেকে। কলসির মতো দেখতে এক বিশেষ অঙ্গের সাহায্যে এভাবে পোকামাকড়সহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র প্রাণীকে আকৃষ্ট করছে এই গাছগুলো।
এদের কলসি সদৃশ অঙ্গটি মোম জাতীয় পিচ্ছিল পদার্থে আবৃত। ফলে পোকামাকড় এগুলোর উপর বসলেই আর রেহাই নেই। বেশিরভাগ পোকামাকড়ই জলজ মৃত্যুকূপে পতিত হয়।
কলসির মতো দেখতে এই শিকারি অঙ্গগুলোর উপর নামকরণ করা। এই মাংসাশী শিকারি গাছগুলোর নাম হচ্ছে পিচার প্লান্ট। এর কলসির নিচের দিকের বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে পাচক রস নিঃসৃত হয়।
যেগুলো পোকামাকড়ের দেহকে হজম করতে ব্যবহৃত হয়। তবে এখানকার সব আগন্তুকই খাবারে পরিণত হয় না। রেড ক্যাব মাকড়সা পিচার প্লান্টেই জীবন কাটিয়ে দেয়। সিল্কের সুতায় ভর করে এরা পিছলে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
নিজে শিকার ধরার বদলে এরা পিচার প্লান্টে ধরা পড়া শিকারের উপর নির্ভরশীল। যখনই একটি পতঙ্গ পতিত হয়, মাকড়সা পতঙ্গটির ডুবে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে। পতঙ্গের মৃত্যু নিশ্চিত হলে মাকড়সাটি ভুরিভোজে মেতে ওঠে।
কারণ জীবন্ত একটি পিঁপড়াও রেড ক্র্যাব স্পাইডারের জন্য বেশ ভয়ঙ্কর। তবে মাকড়সাটি পিচার প্লান্টের সব খাবারই ভক্ষণ করে না। বেশিরভাগ খাবারই রয়ে যায় পিচার প্লান্টের জন্য।
কিছু শিকার যেমন, মশার লার্ভা মাকড়সার আয়ত্তের বাইরে মনে হতে পারে। তবে মাকড়সাটি এক বিস্ময়কর কৌশল রপ্ত করেছে। এরা বাতাসের বাবল সঙ্গে নিয়ে পানির গভীরে ডুব দিতে পারে।
বাতাসের বাবলই এদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারের কাজ করে। শিকার ধরে এরা সিল্কের সুতা বেয়ে নিরাপদ স্থানে চলে আসে।
রেড ক্র্যাব মাকড়সার মতো প্রতিটি প্রাণীর জীবনই বৃক্ষ নির্ভর। প্রাণী ব্যতীত অধিকাংশ বৃক্ষই টিকে থাকবে। তবে বৃক্ষ ব্যতীত বিলুপ্ত হবো আমরাও। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।