উন্নয়নের স্বার্থে নগরবাসীকে পৌরকর প্রদানের আহ্বান

স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স-ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠান

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ‘বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত’ চট্টগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও অগ্রগতি ঠেকাতে একটি মহল সব সময় তৎপর। তাদের এই অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে। জাতীয় খাতে রাজস্ব আয়ের সিংহভাগের যোগানদাতা চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা ছিনিয়ে নেয়ার এই পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দিতে হবে। নগরীর উন্নয়ন, আলোকায়ন,পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে নগরবাসীকে পৌরকর প্রদান করতে হবে’।
তিনি বুধবার সকালে নগরীর পাথরঘাটার আনসার কøাব সংলগ্ন চসিক রাজম্ব সার্কেল-৩ এর স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতিমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চিটাগাং চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোহাম্মদ ছগির আহমেদ, বিপণী বিতান ব্যবসায়ী ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ছগির, পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীর, আল মাদানী দাতব্য চিকিৎসালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. হাজেরা নাজনীন, কর-কর্মকর্তা (লাইসেন্স) জানে আলম, কর-কর্মকর্তা (কর) মেজবাহ উদ্দীন, উপ-কর কর্মকর্তা অতিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্র্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, নগরবাসী হলেন এই শহরের মালিক। নগরীকে সুন্দর পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য রাখতে নগরবাসীর দায়িত্ব রয়েছে। করপোরেশনের প্রধানতম আয়ের খাত হলো পৌরকর। এই কর না দিলে কিভাবে নগরীর উন্নতি হবে? আমরা ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারচার্জ ছাড়া পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। আশা করি নগরবাসী এই সুযোগ গ্রহণ করবেন। জানুয়ারি থেকে আর এই সুযোগ থাকবে না। আমরা ভোগান্তি কমাতে স্পটে পৌর কর ও লাইসেন্স প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছি। এখন আর নগরবাসী বলতে পারবেন না কর আদায়কারীরা কর নিতে বাসায় যান না। চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোহাম্মদ ছগির আহমেদ বলেন, চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে ওজন স্কেল বসানো হলো। অথচ দেশের কোথাও সড়কে ওজন স্কেল নাই। ওজন স্কেলের কারণে ১৭ টনের উপরে কোন ট্রাক, ট্যাংক-লরি চট্টগ্রাম শহরে মালামাল নিয়ে চলাচল করতে পারে না। তিনি ঢাকার দিকে চেয়ে না থেকে নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে নগরবাসীকে পৌরকর প্রদান করার আহ্বান জানান। পরে প্রশাসক বিভিন্ন গ্রাহককে কর প্রদানের রশিদ প্রদান করেন।
বুক-কো অপারেটিভ সোসাইটি ৩ লাখ ১০ হাজার ১৪৪ টাকা, পশ্চিম বাকলিয়ার মো.সাহেব মিয়া ১ লাখ ৭ হাজার ২’শ ৯২ টাকা, কোরবানীগঞ্জের আজিজ আহম্মদ চৌধুরী ৩১ হাজার ৮’শ ৯৫ টাকা কর প্রদান করেন। বিজ্ঞপ্তি