ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ২

সুপ্রভাত ডেস্ক:

গভীর রাতে নিজের বাসায় হামলায় আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে আনা হয়। খবরবিডিনিউজের।

গভীর রাতে নিজের বাসায় হামলায় আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে আনা হয়।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার ভোরে র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে হাকিমপুর উপজেলার কালীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এরা হলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুরের আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন এবং রানীগঞ্জের আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম।

এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বলে উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম আকাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার দুজনকে রংপুরে র‌্যাব-১৩ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানিয়ে ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, “ইউএনওর বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করেই তাদের চিহ্নিত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার দুজনেই মাদকাসক্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। কী কারণে তারা ইউএনওর বাসায় ঢুকে হামলা চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিরামপুর সার্কেলের এএসপি মিথুন সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ঘোড়াঘাট পৌর মেয়রের উপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সে জামিনে ছিল।”

বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর ওই হামলা চালানো হয়।

গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার এনে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হামলায় আহত ওয়াহিদার বাবা ওমর আলীকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নওগাঁ থেকে তিনি মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।

ওয়াহিদার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।

ওমর আলী পুলিশকে বলেছেন, রাতে বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে কেউ একজন বাসায় ঢোকে। ওয়াহিদা টের পেয়ে এগিয়ে গেল তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ওমর আলী এগিয়ে গেলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হামলাকারী পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সেখানে  হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।