‘ আমি তমাল বলছি, আর শুনতে পাবো না

এ জেড এম হায়দার :

‘ আমি তমাল বলছি, খেলার নিউজটা নেন’। একথা আমরা আর চট্টগ্রামের কোন খেলার ভেন্যু থেকে শুনতে পাবো না। বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রামের বার্তা বিভাগের ক্রীড়া সংবাদদাতা সদালাপী চট্টগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক তমাল চৌধুরী (৭৪) রোববার দিবাগত রাত ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সদা হাস্যজ্জ্বোল তমাল চৌধুরীর মৃত্যু সংবাদ জানার পর চট্টগ্রামের সাংবাদিক ও প্রিয়জনেরা সকালে পাথরঘাটার বাসায় ছুটে যান। তারা প্রয়াতের স্ত্রী, একমাত্র পুত্র হকি খেলোয়াড় অন্বেশ চৌধুরীকে সান্তনা জানান। পরে মরদেহ সকাল ১১টায় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে এলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দুপুরে বলুয়ারদীঘি পাড়স্থ শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
বৃদ্ধ বয়সেও খেলার খবর সংগ্রহের জন্য প্রতিদিন মাঠে উপস্থিত থাকতে অলসতা করেননি। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ফুটবল লিগ ও টুর্নামেন্টসহ বিভিন্ন ভেন্যুতে ক্রীড়া ইভেন্টের খবর নিয়মিত বেতারের সংবাদে পরিবেশন করেছেন। এখন তাঁর অনুপস্থিতি আমাদের সকলকে হতাশ করবে। অনেক ইতিহাসের তথ্য তিনি মুহূর্তেই জানাতে পারতেন। আর প্রতিদিন প্রেস ক্লাবে সকাল-বিকেল ছিল এ গুণী সাংবাদিকের বিচরণ। ছোট-বড় সকলের সাথে সার্বক্ষণিক হাসি-ঠাট্টা করে সময় কাটাতেন। সর্বশেষ ২৪ ডিসেম্বর ক্লাবে ছেলেসহ এসে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার নিয়ে রোববার দিবাগত রাত ৩টায় না ফেরার দেশে পাড়ি দেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।