আমানবাজারে করোনা উপসর্গে নারীর মৃত্যু

দাফন-কাফনের আগ পযন্ত করোনা উপসর্গ’র কথা গোপন রাখে পরিবার
 দুদিন পর জানা গেল করোনা পজিটিভ আতংক, ঝুঁকির মুখে কয়েক’শ পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দাফন-কাফনের আগ পযন্ত এক নারীর করোনার উপসর্গ’র কথা পরিবার গোপন করায় ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়াড এলাকায়  কয়েকশ পরিবারে আতংক বিরাজ করছে।
আমান বাজার এলাকার ফরিদা বেগম রোজী (৪৫) নামে ওই নারীর মৃত্যুর দুদিন পর গতকাল  মঙ্গলবার জানা গেল তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
ঈদের আগের রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই নারী মারা গেলেও বিষয়টি চেপে যায় পরিবার।  জানাজা পড়ানো হয় গত সোমবার ঈদের জামাতের পরপরই। পরিবারের পক্ষ থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি গোপন করায় ঈদ জামাতে অংশ নেওয়া শত শত মানুষও এ জানাজায় অংশ নেয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মৃত নারী ফরিদা বেগম রোজী আমান বাজার এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলমের স্ত্রী। তিনি   কয়েকদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শুরুতে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিলেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত শনিবার তাকে নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকার সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।  অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত রোববার রাত ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফরিদা বেগম রোজী।
জানা গেছে, আমান বাজার জামে মসজিদের পাশে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন ফরিদা। অদূরে আছে নুর নাহার ভবন। এটির মালিকও তার শ্বশুর। ওই ভবনে ৪০টি ফ্ল্যাট আছে। এসব ফ্ল্যাটে ৪০-৫০টি পরিবার থাকে। ফ্ল্যাটটির বাসিন্দাদের সাথে ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের যাতায়াত থাকায় তারাও ও আতংকে রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি মঙ্গলবার রাত ১১টায় জানতে পেরেছি, ওই গৃহবধূর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল করোনা পজিটিভ। আমরা তার স্বজনদের লকডাউনের কথা জানিয়েছি। আজ বুধবারের মধ্যে এলাকাটি লকডাউন করে  স্বজনদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে’।