আনোয়ারার পানি কচু সুস্বাদু রপ্তানি হচ্ছে দেশের বাইরেও!

 আনোয়ারায় চাষ হচ্ছে  পানি কচু-সুপ্রভাত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা :

পানিতে লবণাক্তের মাত্রা বেশি হওয়ায় কচু ও লতির স্বাদ ভালো হয় এখানে। খেতেও সুস্বাদু। এখানকার  কচুর চাহিদাও রয়েছে বেশি। বর্তমানে এ কচু দেশ ছাড়িয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ক্রমাগত চাহিদা বৃদ্ধি ও ভাল বাজার মূল্য পাওয়ায় ডুমুরিয়া ও কৈয়খাইন গ্রামের কৃষকদের পানি কচু চাষে আগ্রহও বেড়েছে। চলতি বছর ফলনও হয়েছে ভালো। উপযুক্ত দাম পাওয়ায় কৃষকরাও খুশি। এখানকার উৎপাদিত কচু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বাইয়ের দেশের বিভিন্ন স্থানেও।

উপজেলার ডুমুরিয়া ও কৈয়খাইন গ্রামের পানি কচু চট্টগ্রামের বিখ্যাত ও স্বাদে সুস্বাদু হওয়ায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসব কচু বাজারজাত করতে চাষিদের কাছ থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। সাধারণ মানুষের কাছে পানি কচু চাহিদা থাকায় চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক। পানি কচু চাষিরা এখন তাদের জমিতে কচু চাষ করে ভাল লাভবান হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে ‘লতিরাজ’ কচু হিসেবে পরিচিত এই কচু অনেকের কাছেই প্রিয় সবজি হয়ে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রাম ও পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈয়খাইন গ্রামসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১২০ হেক্টর জমিতে পানি কচু চাষ হয়েছে। সাধারণত পানি কচু লাভজনক হওয়ায় কচু চাষে চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। এবার উপজেলায় প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে পানি কচুর চাষ করেছে কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় এবার  বেশি চাষ হয়েছেও জনিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরড়্গক কর্মকতা সরোয়ার আলম। তিনি জানান, তাল মাধাম প্রজাতের কচু এ উপজেলায় বেশি আবাদ হয়। এবার কচু বিজ উপজেলার বাইয়েও যাচ্ছে রোপনের জন্য।

স্থানীয় ডুমুরিয়ার চাষি মোহাম্মদ মিজান বলেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে এবার কচু চাষটা বেশি করেছি। কম সময়ে লাভজনক হওয়ায় বেশ কিছু জমিতে আমি পানি কচু চাষ করি। প্রতি বছরই কচু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এখানে। এবার বেশ ফলন ভালো হয়েছে আশা করি আমি লাভবান হবো। পাইকারী ব্যবসায়ী স্থানীয়  কৈয়খাইন গ্রামের লিয়াকত আলী বলেন, আনোয়ারা উপজেলার ডুমুরিয়া ও কৈয়খাইনের কচু ভালো বলে চট্টগ্রাম শহরেও সুনাম রয়েছে। তাই এ কচু বেশি চাহিদা থাকায় আমরা চাষীদের কাছ থেকে কিনে শহরে বিক্রয় করি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, উপজেলার প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে পানি কচু চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। পানিতে লবণাক্তের মাত্রা বেশি হওয়ায় কচু ও লতি খেতে খুব সু-স্বাদু। স্বাদ ভালো হওয়ায় মানুষের চাহিদাও রয়েছে বেশি। বর্তমানে কচুসহ অন্যান্য সবজি আবাদের ফলে তারা আর্থিক  ভাবে লাভবান হচ্ছে। কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শও দিয়ে যাচ্ছি আমরা। তিনি আরো বলেন, দেশ ছাড়িয়ে আবর আমিরাত, ইংল্যান্ড, আমেরিকার মত দেশেও রপ্তানি হচ্ছে।