আঞ্চলিক উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ জরুরি

ওয়েবিনার

রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’র উদ্যোগে দেশে-প্রবাসে ছড়িয়ে থাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কৃতি ব্যক্তিত্বদের পরিচিতি ও কৃতিত্ব তুলে ধরতে সমসাময়িক বরেণ্য ব্যক্তিত্বদের নিয়ে আয়োজিত ‘রাঙ্গুনিয়ার কৃতিজন পরিচিতি’ অনুষ্ঠানের চলমান পর্বের অতিথি আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রফিকুল আলম এবং চবি পালি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু।
১৫ ফেব্রুয়ারি রাঙ্গুনিয়া স্টুডেন্টস ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’র অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজ থেকে সরাসরি ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাব।
প্রফেসর ড. মো. রফিকুল আলম বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে পারলে আঞ্চলিক উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি সড়ক সম্প্রসারণ ও অঞ্চলভিত্তিক সম্ভাবনাকে বিশেষভাবে প্রাধান্য দিয়ে কৃষি, শিল্পসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধন সম্ভব। বিশেষত, ঢাকার সাভারকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, মহানগরীর বর্ধিত জনসংখ্যার চাপ সামলাতে এবং নগরের সুনিপুন সম্প্রসারণে গ্রামাঞ্চলে আঞ্চলিক স্যাটেলাইট টাউন বা মডেল টাউন গড়ে তোলা জরুরি। এতে করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও বর্তমান সরকারের ‘প্রতিটি গ্রাম হবে শহর’ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সহজতর হয়ে উঠবে। একইসাথে মফস্বল থেকে উপশহরে রূপান্তরিত হয়ে জীবনযাত্রার মানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু বলেন, আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাস্তবায়ন একান্ত অপরিহার্য। অঞ্চলভেদে অভিজ্ঞ ও দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আঞ্চলিক সমন্বয় কমিটি গঠন করে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হলে কাক্সিক্ষত সুফল আসবে।
স্থানীয় চাহিদা, উপযোগিতা নিরূপণ ও সম্ভাব্যতা যাচাই বাছাই করে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করতে পারলে সরকারি অর্থের অপচয় রোধ, স্থানভিত্তিক প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ ও দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হবে বলেও মত দেন তিনি। বিজ্ঞপ্তি