অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অব্যাহত থাকবে

আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক

‘চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ছাড়পত্রবিহীন অবৈধ ইটভাটাগুলো দ্রুত উচ্ছেদ করতে হাই কোর্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এ জেলায়ও চার শতাধিক ইট ভাটার মধ্যে বৈধ ইটভাটা রয়েছে মাত্র ৭৫টি। মাটির টপ সয়েল কেটে ও বন উজাড় করে অবৈধ ইটভাটাগুলোতে ইট তৈরি করা হচ্ছে। পরিবেশ ধ্বংসকারী এসব অবৈধ ইটভাটাগুলো উচ্ছেদে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একটি ইটভাটা উচ্ছেদ করতে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। আমাদের তো এতো বাজেট নেই। তাই ছাড়পত্রবিহীন ইটভাটাগুলো নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিতে মালিক পক্ষকে তাগাদা দেয়া হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইটভাটা ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স ও ছাড়পত্র দিতে চাই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ জেলার মানুষকে নিরাপদ রাখা, মাদক-সন্ত্রাস নির্মূল ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে। সড়কে যানজট রোধে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি এলাকার চিহ্নিত ভূমি দস্যুদের উপদ্রব রোধ, অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, বালি উত্তোলন ও অবৈধ ভাসমান গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের সকলের ক্ষমতা একসাথে করে দলবদ্ধভাবে কাজ করলে রাষ্ট্রপ্রধানের শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। সরকারি নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে ও গণ জমায়েত সৃষ্টি করে মিলাদ, ওয়াজ, ওরশ ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
ডিসি আরো বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে। কোন প্রভাতফেরী হবেনা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাল্টিমিডয়ার মাধ্যমে জানুয়ারি/২০২১ মাসের খাতওয়ারী অপরাধ চিত্র, সভার সিদ্ধান্ত ও অগ্রগতি তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. সুমনী আক্তার।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম রশিদুল হক, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (ফটিকছড়ি), স্বজন কুমার তালুকদার (রাঙ্গুনিয়া) প্রমুখ। সভায় সরকারের বিভিন্নস্তরে কর্মরত কর্মকর্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি