অক্টোবরে আমেরিকার করোনা টিকা! ঘোষণা ট্রাম্পের, বাইডেন চান স্বচ্ছতা

সুপ্রভাত ডেস্ক :

রাশিয়ার পর এ বার কি আমেরিকা? অক্টোবরেই  করোনার ভ্যাকসিনের  ছাড়পত্র দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন  ট্রাম্প। যদিও ভোটের কথা মাথায় রেখে আমেরিকাও রাশিয়ার মতোই তাড়াহুড়ো করে করোনার টিকায় ছাড়পত্র দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন। এ বিষয়ে সরকারের স্বচ্ছতার দাবি করেছেন বাইডেন।

করোনার টিকা আবিষ্কার করে ফেলেছেন বলে গত ১১  আগস্ট ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ‘স্পুটনিক ভি’ নামের ওই টিকাকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। তবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) শেষ হওয়ার আগেই টিকায় ছাড়পত্র দেওয়া ঘিরে চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক মহলে বিস্তর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে রাশিয়াকে। এখনও সেই বিতর্কের অবসান হয়নি। সোমবার নিজে ‘স্পুটনিক ভি’-র ডোজ নিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শইগু।

এই বিতর্কের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্থানীয় সময় সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘এতে (টিকা তৈরি) দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারত। কিন্তু পরিবর্তে খুব অল্প সময়েই তৈরি করে ফেলেছেন দেশের বিজ্ঞানীরা।’’ এমনকি, অক্টোবরেই এই ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে বলেও ঘোষণা করেন ট্রাম্প।

কিন্তু দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাংশ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাঁদের অভিযোগ, ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ট্রাম্প। তার আগে হোয়াইট হাউসের চাপে পড়ে চটজলদি টিকার অনুমোদন দিচ্ছে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ভোটের কথা মাথায় রেখে তড়িঘড়ি টিকা বাজারে আনা হয়েছে, সাধারণ মানুষ এটা বুঝতে পারলে আমেরিকার নাগরিকদের অনেকেই সেটা নিতে অস্বীকার করতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ওই বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক মহল।

যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘এই টিকা নিরাপদ ও অত্যন্ত কার্যকরী হবে। এটা খুব শীঘ্রই বাজারে আসবে। এ বার একটা বড় চমকের অপেক্ষায় থাকুন।’’

কিন্তু ট্রাম্প যতই আশ্বস্ত করুন, বিজ্ঞানীদের ওই অংশের সঙ্গেই সুর মিলিয়েছেন জো বাইডেন। প্রেসিডেন্টের সাংবাদিক বৈঠকের আগেই সোমবার পেনসিলভেনিয়ায় নিজের বাড়িতে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিজ্ঞানীরা কী বলছেন, তার অপেক্ষায় থাকব।’’ ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং তার কর্ণধার অ্যান্টনি ফাউচির উপর আস্থা রাখেন কি না, সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘টিকার সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা চাই।’’ এর আগেও রাজনৈতিক চাপে তাড়াহুড়ো করে টিকার অনুমোদনের অভিযোগ তুলেছিলেন। ট্রাম্প এ দিন তার জবাবে বলেন, ‘‘উনি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নষ্ট করছেন।’’